শিবিরের প্রকাশনা উৎসবে রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
Published: 20th, January 2025 GMT
রাজশাহী কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নববর্ষ প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপি এ আয়োজনকে ঘিরে কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা।
প্রকাশনা উৎসবে শিক্ষার্থীদের জন্য বই ক্রয়ের পাশাপাশি স্টলে বসে পড়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। মেলার স্টলগুলো সজ্জিত করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইটিং ও রঙিন আলোর সাজে, যা সন্ধ্যায় এক ভিন্ন আবহে রাঙিয়ে তুলেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজশাহী কলেজ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত নববর্ষ প্রকাশনা উৎসবে শিক্ষার্থীদের বই পড়তে দেখা যায়। এ প্রকাশনা উৎসবটি গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উদ্বোধন করা হয় এবং চলবে আগামী বুধবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর সুমাইয়া আক্তার বলেন, “এখানে ধর্মীয়সহ ক্যারিয়ার বিষয়ক বই রয়েছে, যা মানসিক চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারছে, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।”
কলেজের একাদশের শ্রেণির শিক্ষার্থী অঙ্কুশ সরকার বলেন, “এখানে বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে, যেখান থেকে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে পারছি। মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনীর বই রয়েছে, যা সব ধরনের পাঠকদের জন্য অনেক উপকারী।”
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান মাহমুদ বলেন, “আমাদের এ বই উৎসবটি আয়োজন মূলত রাজশাহী কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য। ইসলামী ছাত্রশিবির মূলত একটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। আমাদের ২০০টির বেশি প্রকাশনী রয়েছে। এ প্রকাশনা উৎসবে রয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির এর সংবিধান, কর্মপদ্ধতি, কিভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচালিত হয় ইত্যাদি। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক এবং একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে করণীয় বিষয়ক বিভিন্ন বই।”
তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে এবং তাদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা যে সোনালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে, শিক্ষার্থীসহ আমাদের সবাইকে সেটা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।”
ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু