Samakal:
2025-11-03@11:31:40 GMT

ক্লাবের দাবি মেনে নেবে বিসিবি

Published: 21st, January 2025 GMT

ক্লাবের দাবি মেনে নেবে বিসিবি

ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) দিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়াই ছিল। ক্লাবগুলো বেঁকে না বসলে গতকাল থেকে মাঠে গড়াত ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ।

২০টি ক্লাবে ৩০০ বা তারও বেশি ক্রিকেটারের পদচারণায় মুখরিত হতো ঢাকার ক্লাবপাড়া। সেখানে বিসিবির গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির একটি প্রস্তাবনার প্রতিবাদে স্থগিত হয়ে গেছে প্রথম বিভাগ লিগ। সেটি হলো, সিসিডিএম বা ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট থেকে ১২ জনের পরিবর্তে মাত্র চারজন পরিচালক নির্বাচিত করার বিধানের সুপারিশ। নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য খর্ব হওয়ার শঙ্কায় ঢাকার ৭৬টি ক্লাব একাট্টা হয়ে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রস্তাবনা বাতিল চেয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।

গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটিও প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে বোর্ড সভাপতির কাছে। শিগগির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা করে ক্লাব ক্যাটেগরির প্রস্তাবনার ও ক্লাবের দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় সংস্কার কমিটির দেওয়া ক্লাব ক্যাটেগরির প্রস্তাবনা বাতিল করা হতে পারে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। গত বছর আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা– ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুরের কমিটি অনুমোদন করা হয়। অথচ কোনো সংস্থা এখন পর্যন্ত নিজেরা ক্রিকেট লিগ বা টুর্নামেন্ট পেশাদারভাবে আয়োজন করতে পারেনি। চট্টগ্রাম কোনোরকমে একটি টি২০ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবির অনুদান পাওয়ার জন্য।

এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকার ক্লাবের ক্ষমতা হ্রাস করতে গিয়ে দেশের ক্রিকেটকে অকার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিসিবির একজন পরিচালক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ ভালো। তবে প্রতিটি আঞ্চলিক সংস্থাকে শক্তিশালী না করে ঢাকা লিগকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। যেটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।’ ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন জানান, প্রতিবছর ঢাকা লিগে (তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম ও প্রিমিয়ার) ১০০ কোটি টাকা সম্মানী দেওয়া হয় খেলোয়াড়দের। লিগ বয়কট করা হলে ক্রিকেটারদের রুটিরুজি থাকবে না। কারণ বিপিএল, ঢাকা লিগ থেকেই মূল আয় ক্রিকেটারদের। জাতীয় লিগ থেকেও সীমিত সংখ্যক ক্রিকেটার আয় করেন। তাই ক্রিকেট সংগঠকরা এখনই ব্যাপকভাবে ক্লাব ক্যাটেগরিতে সংস্কারের পক্ষে না।

বিসিবির গঠনতন্ত্র সংস্কার করার নির্দেশনা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে বলে জানান একজন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘সভাপতি ফারুক আহমেদকে বলা হয়েছে নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি সংস্কার কমিটি করে দিতে। তিনি পরোক্ষে সরকারি হস্তক্ষেপ মেনে নিয়ে কমিটি বানিয়েছেন।

আইসিসির গঠনতন্ত্রে লেখা আছে– সরকার কোনোভাবে গঠনতন্ত্র সংস্কারে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। সুপ্রিম কোটেরও নির্দেশনা আছে, বিসিবির গঠনতন্ত্র সংস্কারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কেউ থাকতে পারবে না। সেখানে এনএসসি চেয়ারম্যানের (ক্রীড়া উপদেষ্টা) পিএস মো.

সাইফুল ইসলামকে করা হয়েছে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির সদস্য সচিব। বাকি তিনজন আইনজীবী। এর অর্থ হলো, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হলে সরকারি হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হবে। কারণ এনএসসি শুধু সংশোধিত ও অনুমোদিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউ আদালতে গেলে প্রস্তাবনা স্থগিত হয়ে যাবে। আইসিসিতে নালিশ করা হলে বিসিবি নিষেধাজ্ঞায় পড়বে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গঠনতন ত র স স ক র র গঠনতন ত র র কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। তাঁকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাউন্সিলর মনোনীত করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রুবাবা দৌলার অন্তর্ভুক্তিতে ২৫ সদস্যের বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণতা পেয়েছে।

দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থায় এনএসসি মনোনীত কাউন্সিলর থাকেন দুজন। গত ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর এনএসসি যে দুজনকে মনোনয়ন দেয়, তাদের একজন ইসফাক আহসানকে নিয়ে সেদিনই বিতর্ক দেখা দেয়। আজ এনএসসির চিঠিতে ইসফাক আহসান ‘পদত্যাগ করেছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়।

ব্যবসায়ী ইসফাকের আওয়ামী লীগের পদে থাকা এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়টি আলোচনায় এলে এনএসসি তাঁর জায়গায় রুবাবাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকায় রুবাবা তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব নেননি।

রুবাবা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।

রুবাবা দৌলা দীর্ঘদিন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।

গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। সেই সময় গ্রামীণফোন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১), আর ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনেও ভূমিকা ছিল রুবাবার।

আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা রয়েছে। রুবাবা দৌলা সভায় যোগ দিতে পারেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তিনি ছাড়া মনোনীত অন্য কাউন্সিল ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা