Samakal:
2025-05-01@05:37:49 GMT

ক্লাবের দাবি মেনে নেবে বিসিবি

Published: 21st, January 2025 GMT

ক্লাবের দাবি মেনে নেবে বিসিবি

ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) দিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়াই ছিল। ক্লাবগুলো বেঁকে না বসলে গতকাল থেকে মাঠে গড়াত ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ।

২০টি ক্লাবে ৩০০ বা তারও বেশি ক্রিকেটারের পদচারণায় মুখরিত হতো ঢাকার ক্লাবপাড়া। সেখানে বিসিবির গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির একটি প্রস্তাবনার প্রতিবাদে স্থগিত হয়ে গেছে প্রথম বিভাগ লিগ। সেটি হলো, সিসিডিএম বা ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট থেকে ১২ জনের পরিবর্তে মাত্র চারজন পরিচালক নির্বাচিত করার বিধানের সুপারিশ। নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য খর্ব হওয়ার শঙ্কায় ঢাকার ৭৬টি ক্লাব একাট্টা হয়ে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রস্তাবনা বাতিল চেয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।

গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটিও প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে বোর্ড সভাপতির কাছে। শিগগির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা করে ক্লাব ক্যাটেগরির প্রস্তাবনার ও ক্লাবের দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় সংস্কার কমিটির দেওয়া ক্লাব ক্যাটেগরির প্রস্তাবনা বাতিল করা হতে পারে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। গত বছর আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা– ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুরের কমিটি অনুমোদন করা হয়। অথচ কোনো সংস্থা এখন পর্যন্ত নিজেরা ক্রিকেট লিগ বা টুর্নামেন্ট পেশাদারভাবে আয়োজন করতে পারেনি। চট্টগ্রাম কোনোরকমে একটি টি২০ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবির অনুদান পাওয়ার জন্য।

এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকার ক্লাবের ক্ষমতা হ্রাস করতে গিয়ে দেশের ক্রিকেটকে অকার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিসিবির একজন পরিচালক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ ভালো। তবে প্রতিটি আঞ্চলিক সংস্থাকে শক্তিশালী না করে ঢাকা লিগকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। যেটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।’ ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন জানান, প্রতিবছর ঢাকা লিগে (তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম ও প্রিমিয়ার) ১০০ কোটি টাকা সম্মানী দেওয়া হয় খেলোয়াড়দের। লিগ বয়কট করা হলে ক্রিকেটারদের রুটিরুজি থাকবে না। কারণ বিপিএল, ঢাকা লিগ থেকেই মূল আয় ক্রিকেটারদের। জাতীয় লিগ থেকেও সীমিত সংখ্যক ক্রিকেটার আয় করেন। তাই ক্রিকেট সংগঠকরা এখনই ব্যাপকভাবে ক্লাব ক্যাটেগরিতে সংস্কারের পক্ষে না।

বিসিবির গঠনতন্ত্র সংস্কার করার নির্দেশনা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে বলে জানান একজন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘সভাপতি ফারুক আহমেদকে বলা হয়েছে নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি সংস্কার কমিটি করে দিতে। তিনি পরোক্ষে সরকারি হস্তক্ষেপ মেনে নিয়ে কমিটি বানিয়েছেন।

আইসিসির গঠনতন্ত্রে লেখা আছে– সরকার কোনোভাবে গঠনতন্ত্র সংস্কারে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। সুপ্রিম কোটেরও নির্দেশনা আছে, বিসিবির গঠনতন্ত্র সংস্কারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কেউ থাকতে পারবে না। সেখানে এনএসসি চেয়ারম্যানের (ক্রীড়া উপদেষ্টা) পিএস মো.

সাইফুল ইসলামকে করা হয়েছে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির সদস্য সচিব। বাকি তিনজন আইনজীবী। এর অর্থ হলো, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হলে সরকারি হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হবে। কারণ এনএসসি শুধু সংশোধিত ও অনুমোদিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউ আদালতে গেলে প্রস্তাবনা স্থগিত হয়ে যাবে। আইসিসিতে নালিশ করা হলে বিসিবি নিষেধাজ্ঞায় পড়বে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গঠনতন ত র স স ক র র গঠনতন ত র র কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিট।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের অ্যাডহক কমিটির বিধান নেই। তবুও ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ অ্যাডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোনো ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে অ্যাডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। 

এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করবো।” 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি