শিল্পী সমিতির কমিটিতে মুক্তির শপথ: বিস্মিত শাহনূরের প্রশ্ন
Published: 21st, January 2025 GMT
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শাহনূর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যকরী পরিষদের টানা তিনটি মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকার অভিযোগে তার পদটি শূন্য করেছে কমিটি।
শাহনূরের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছেন চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তিকে। গত ১৯ জানুয়ারি, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং শেষে মুক্তিকে শপথ পাঠ করান সভাপতি মিশা সওদাগর। শিল্পী সমিতির এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছেন শাহনূর।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শাহনূর তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেত্রী। শাহনূর বলেন, “সবার অবগতির জন্য জানাতে চাই, শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য ছিলাম আমি শাহনূর। আমি ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস নিউ ইয়র্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায়, তারা আমাকে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছে। এজন্য গত তিন মাস আমি কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি।”
আরো পড়ুন:
হামলাকারীকে নিয়ে সাইফের বাড়িতে পুলিশ
আমি সুগার মাম্মি হতে চাই: সুবাহ
এর আগে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই শাহনূরের। নিয়ম অনুযায়ী, শাহনূরকে কারণ দর্শানের চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু একটি চিঠিরও উত্তর দেননি তিনি। তার অনুপস্থিতিতে পদটি শূন্য। সেখানে চিত্রনায়িকা মুক্তি কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।
তবে শাহনূর তার বক্তব্যে ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। এ নায়িকার দাবি, “আমেরিকা আসার আগে, আমি আমার সম্মানিত সভাপতি মিশা সওদাগর ভাইয়ের পারমিশন নিয়ে এসেছি। এছাড়া জয় চৌধুরী, নানা শাহ ভাই, সনি রহমানসহ অনেকের সাথে আমার সবসময় কথা হচ্ছে। তাহলে কেন বলা হচ্ছে যে, আমি কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি?”
পূর্বের মিটিংয়ে কার্যকরী পরিষদের অনেক সদস্যই অনুপস্থিত ছিলেন। তা স্মরণ করে শাহনূর বলেন, “আমি শুধু একাই মিটিংয়ে যাইনি এমন না, আপনারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে গত মিটিংয়েও মাত্র ৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শিল্পী সমিতির কোনো মিটিংয়ে ২১ জন সদস্য উপস্থিত হতে পারেন না, নানা কারণে। শিল্পী সমিতির অনেকের সাথে আমার অনেকবারই যোগাযোগ হয়েছে। তা ছাড়া, আমার সম্মানিত প্রিয় শিল্পীরা, তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে কার্যকরী সদস্য বানিয়েছেন। শিল্পী সমিতির সব মিটিংয়ে আমি সবসময় থাকার চেষ্টা করেছি। আমার পরিবর্তে যদি কাউকে দায়িত্ব দিতে হয় তাতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না, তা সত্ত্বেও আমাকে নিয়ে এত নিউজ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।”
শাহনূরের মন্তব্য ছাড়া খবর প্রকাশ করায় কষ্ট পেয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শাহনূর বলেন, “আমার সব প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা সবাই আমার সাথে ফেসবুকে যুক্ত আছেন, আপনারা নিউজ করার আগে একটাবার উচিত ছিল আমাকে কল করে বিষয়টা জিজ্ঞেস করা। সেটা কিন্তু আপনারা কেউ করেননি। একই নিউজ সবাই করে যাচ্ছেন। এতে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যাক, সবাই ভালো থাকবেন, আমার প্রিয় শিল্পীদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রইল।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক র যকর উপস থ ত আপন র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি