Risingbd:
2025-05-01@09:46:48 GMT

আইসিইউ থাকলেও সেবা নেই 

Published: 23rd, January 2025 GMT

আইসিইউ থাকলেও সেবা নেই 

মাদারীপুরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ থাকলেও সেবা পাচ্ছে না মুমূর্ষু রোগীরা। সরকার লোকবল না দেওয়ার কারণে এই আইসিইউ ইউনিট চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা, জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন। 

অনেক মুমূর্ষু রোগী ঢাকা, বরিশাল বা ফরিদপুর নেওয়ার পথেই প্রাণ হারায়। আইসিইউ ইউনিট চালু থাকলে স্বজনরা এসব রোগীদের বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করতে পারতেন। সরকার এই ইউনিটে লোকবল না দেওয়ায় মুমূর্ষুরা যেমন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ মাদারীপুরবাসীর। 

মাদারীপুর (প্রাঃ) অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রিপন বলেন, “মাদারীপুর থেকে প্রায়ই মূমুর্ষ রোগী নিয়ে ঢাকা, বরিশাল বা ফরিদপুর নিয়ে যায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলো। এরমধ্যে বেশীরভাগ রোগীর এতটা খারাপ থাকে যে তাদের নিয়ে গন্তব্যে পৌছার আগেই মারা যায়। যদি মাদারীপুর ২৫০ বেডের হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিটটি লোকবল দিলে চালু করতো তাহলে হয়তো অনেক জীবন বেঁচে যেতো।”

স্থানীয় শাহজাহান মোল্লা, বাতেন মোল্লা, মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন জানালেন, সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই চিকিৎসা পেতে কষ্ট হয়। তারপর যদি লোকবল কম থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। এছাড়া কোন রোগীর অবস্থা একটু খারাপ হলেই তাকে ঢাকা, বরিশাল বা ফরিদপুরে রেফার করে দেয়। অনেক রোগী রেফার করা হাসপাতালে যাওয়ার আগেই অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়। মাদারীপুর জেলাসহ আসেপাশের জেলাগুলোতেও আইসিইউ নেই। তার মাদারীপুর আইসিইউ চালু হলে এ অঞ্চলের রোগীদের জন্য অনেক ভাল হবে।

মাদারীপুর ২৫০ বেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিট থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় জেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ি করলেন মাদারীপুরে কর্মরত চিকিৎসক ডা.

শিবলী শাহরিয়ার মঞ্জু। 

তিনি বলেন, “মাদারীপুরে আইসিইউ ব্যবস্থা না থাকার কারণে গুরুতর রোগীদের আমরা চিকিৎসা দিতে সাহস পাই না। কারণ এসকল রোগীদের ক্ষেত্রে যে কোনো সময় আইসিইউ’র প্রয়োজন হতে পারে। তার রোগীর অবস্থা গুরুতর হলেই আমরা ঢাকা, বরিশাল, ফরিদপুর রেফার করি। এতে রোগীরা কষ্ট পায় এমনকি অনেক সময় পথেই মারা যায়। এছাড়াও রোগীর পরিবারের কষ্টের মাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ আর্থিকভাবেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

দ্রুত লোকবল দিয়ে মাদারীপুর ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিটটি চালু করার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানান তিনি।

ঢাকা/বেলাল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ