এবারের বিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে। সর্বশেষ বুধবার চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে ৯০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতান তিনি। 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে তানজিদ তামিম জানান, তারা উইকেটে আগে সেট হতে চেয়েছিলেন। পরে রান তোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা এই ওপেনার জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ওয়ানডে ফরম্যাট হওয়ায় চেষ্টা করবেন ক্রিজে নিজেকে কিছু সময় বেশি দেওয়ার। 

তানজিদ বলেন, ‘সেঞ্চুরি হয়তো হতে পারতো। এটা মিস হয়েছে এমন মনে হয়নি। এটা আমার হাতেও নেই। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পেরেছি, এটাই ভালো লেগেছে। চেষ্টা করেছি নিজেকে সময় দেওয়ার। ব্যাটিং উপভোগ করেছি। শুরুতে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’  

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তরুণ ব্যাটার তামিম জানান, ওয়ানডে ফরম্যাট হওয়ায় পাওয়ার প্লেতে টি-২০’র চেয়ে বেশি সময় নিয়ে খেলা যায়। তিনিও চেষ্টা করবেন সময় নিয়ে খেলার, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট ভিন্ন। এখানে যেমন (টি-২০ ফরম্যাটে) পাওয়ার প্লেতে মেরে খেলতে হয়, রান তুলতে হয়। ওখানে (ওয়ানডে) আরেকটু সময় পাওয়া যায়। চেষ্টা করবো পাওয়ার প্লেতে নিজেকে কিছুটা বেশি সময় দেওয়ার। কিছুটা সময় দিয়ে ব্যাট করতে পারলে আমার জন্য ভালো হবে।’ 

বিপিএলের ঢাকা পর্বে নিজ দর্শকদের সামনে বাজে ক্রিকেট খেলেছে ঢাকা। তানজিদ তামিম কিছুটা রান পেলেও লিটন দাস একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। রান আসেনি মিডল অর্ডার থেকেও। বোলিং বিভাগে মুস্তাফিজ ঠিক সেরা ছন্দ দেখাতে পারেননি। তবে সিলেট ও চট্টগ্রাম পর্ব মিলিয়ে ৩ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠেছে ঢাকা। এখন দলটির সামনে সেরা চারে শেষ করার সুযোগও এসেছে।

তানজিদ জানান, ওসব চিন্তা না করে শেষ দুই ম্যাচে তারা ভালোভাবে শেষ করতে চান। ঢাকা পর্বের দুই ম্যাচে জয়ই তাদের লক্ষ্য থাকবে। দলের অন্যদের প্লানও সেটাই বলেও জানিয়েছেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ফরম য ট ব প এল সময় দ

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ