গাজায় এখন ধ্বংসস্তূপে লাশ খুঁজছেন স্বজনরা
Published: 23rd, January 2025 GMT
গাজায় বন্দুক হয়তো নীরব হয়ে গেছে, কিন্তু মাহমুদ আবু দালফার যন্ত্রণা এখনো শেষ হয়নি। যুদ্ধের প্রথম মাসগুলো থেকে তিনি তার বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের মৃতদেহের সন্ধান করছেন।
মাহমুদ জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গাজা শহরের শেজাইয়া শহরতলিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার পরিবারের ৩৫ জন সদস্য নিহত হন। এদের মধ্যে তার স্ত্রী ও সন্তানরাও ছিলেন। বোমা হামলার পর মাত্র তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
মাহমুদ বলেন, “আমার সন্তানরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে। আমি তাদের বের করার চেষ্টা করছি.
তিনি বলেন, “আমার স্ত্রীকে আমার পাঁচ সন্তানের সাথে হত্যা করা হয়েছিল - তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে।”
মুসলিম সম্প্রদায়ে সাধারণত মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেহ দাফন করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার এবং মর্যাদাপূর্ণ দাফন নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা শোকাহত পরিবারগুলোর জন্য বেদনাদায়ক।
মাহমুদ বলেন, “আমি আশা করি আমি তাদের বের করে আনতে পারব এবং তাদের জন্য একটি কবর তৈরি করতে পারব। এই পুরো পৃথিবীর কাছ থেকে আমি কেবল এটাই চাই। আমি চাই না যে তারা আমার জন্য একটি বাড়ি তৈরি করুক বা অন্য কিছু দিক। আমি কেবল তাদের জন্য একটি কবর চাই।”
রবিবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ১৫ মাসের এই যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। রবিবার থেকে ফিলিস্তিনি সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিস এবং চিকিৎসা কর্মীরা প্রায় ২০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির প্রধান মাহমুদ বাসাল জানান, মাটি সরানোর যন্ত্র এবং ভারী যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে উত্তোলন কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইসরায়েল তাদের সংস্থার বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস করেছে এবং কমপক্ষে ১০০ জন কর্মীকে হত্যা করেছে।
বাসালের অনুমান, যুদ্ধে নিহত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনির মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাদের দাফন করা হয়নি।
জাতিসংঘের প্রকাশিত ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নে দেখা গেছে, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের পর গাজায় পাঁচ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ২১ বছর সময় লাগতে পারে। এর জন্য খরচ হবে ১২০ কোটি ডলার।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
জিআই সনদ পেলো কিশোরগঞ্জের পনির ও রাতাবোরো ধান
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ পেয়েছে কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য অষ্টগ্রামের পনির।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সনদ গ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও পনিরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
হাওরে ধানের বাম্পার ফলন, দাম কমে যাওয়ায় চিন্তায় কৃষক
আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশিষ্ট শিল্পী, অভিনেত্রী ও সঙ্গীত পরিচালক আরমিন মুসা ও বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার নাকফজলি আমচাষি সমবায় সমিতির লোকজন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য অষ্টগ্রামের পনির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি এ জেলার কৃষি ও খাদ্যশিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এতে স্থানীয় এ দুটি পণ্যের মান ও খ্যাতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ঢাকা/রুমন/বকুল