চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগেই ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে নয়-ছয় চলতে থাকে। ৮ কোটি থেকে দফায় দফায় কমিয়ে ৩ কোটিতে আনা হলেও সাড়া দেয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। টুর্নামেন্ট মাঝপথে না আসতেই মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে ক্রিকেটারদের পাওনা ইস্যু।

বিপিএলে শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, “কোনো সমস্যা হলে বিসিবি-ফ্র্যাঞ্চাইজি বুঝবে।” তিনি একই সঙ্গে বিপিএলে গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও।

কিন্তু বিসিবি-ফ্র্যাঞ্চাইজি বোঝার আগেই শুরু হয় জটিলতা। চট্টগ্রাম পর্বের শুরুতে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পাওনার দাবিতে অনুশীলন বয়কট করে। তখন বন্দরগরীতে ছুটে যান ফারুক। 

আরো পড়ুন:

রংপুরকে হারানোর রসদ জানালেন তাসকিন

রংপুরের ‘ওয়েক আপ কল’

এ সময় ফারুক আহমেদ রাজশাহী থেকে ২৫ শতাংশ তথা ৬৮ লাখ টাকার গ্যারান্টি চেক নেন। আর ২৫ শতাংশ নগদ প্রদান করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দলটির একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। 

সূত্রটি জানায়, “ফারুক ভাই চট্টগ্রামে এসে আমাদের বলেছিলেন ২৫ শতাংশ টাকার গ্যারান্টি দিতে। তখন আমরা উনার কাছে ৬৮ লাখ টাকার চেক জমা দেই। উনি বিষয়টি নিজেই দেখাশোনা করেন।” 

ফারুকের হাতে গ্যারান্টি চেক যাওয়ার পর ক্রিকেটাররাও আশ্বস্ত হন। অথচ বিপিএলের শুরুতে ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়া হলে এমন জটিলতা তৈরি হওয়ার কোনো প্রশ্নই ছিল না। 

শুধু তাই নয় ২৫ শতাংশ অর্থ বুঝিয়ে দিতে দেরি হওয়ায় রাজশাহী সিলেট পর্বে ক্রিকেটারদের ১৪ লাখ টাকা বোনাস দেয়। ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করার জন্য মালিকপক্ষ ১৪ জন স্থানীয় ক্রিকেটারদের ১ লাখ টাকা করে বোনাস দেয়। 

১ লাখ টাকা করে বোনাস পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় এক ক্রিকেটার রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে বলা হয়েছে, “সিলেট পর্বে আমরা ১৪ জন দেশি ক্রিকেটারকে ১ লাখ টাকা করে দেই। ২৫ শতাংশ টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমরা ক্রিকেটারদের এটা বোনাস হিসেবে দিয়েছি। এটা তাদের পাওনার অংশ হিসেবে ধরা হয়নি।”

গ্যারান্টি চেকের বিষয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুকের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে রাইজিংবিডি। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি। 

পাওনা নিয়ে শুধু রাজশাহীর সঙ্গে ক্রিকেটারদের সমস্যা হয়নি। চিটাগং কিংসের কয়েকজন ক্রিকেটারের চেকও বাউন্স করে। এখনো পাওনা বুঝে পাননি ক্রিকেটাররা। 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ