দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এসব ট্যুরিজম পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শুক্রবার বিকেলে টেকনাফের নির্মাণাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন সিরাজ উদ্দিন। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার পর্যটননগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়ন হলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

এ সময় বেজার যুগ্ম সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো.

মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, বেজা সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল,  ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বেজা জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফের সুমদ্রসৈকতের তীরে পর্যটক আকর্ষণে সাবরাংয়ে ১৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬১ একর জমিতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার পার্ক করা হচ্ছে। পর্যটন পার্কে নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের ২৩ বিনিয়োগকারী ১১২ দশমিক ২৯ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছেন। এর বিনিময়ে তারা ৪১৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। পার্কটি বাস্তবায়ন হলে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ