লজ্জার ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পরাজয়!
Published: 25th, January 2025 GMT
আর্জেন্টিনা আরেকটা গোল দিতে পারলে, ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে পরিণত হতো ২০১৪ সালের বিভীষিকাময় মারাকানায়! কী এমন হয়েছে মিসায়েল দেলগাদোতে? দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল! না, আপনি ভুল পড়ছেন না। লিওনেল মেসির উত্তরসূরিরা গুনে গুনে ৬ বার ব্রাজিলের যুবাদের জালে বল জড়িয়েছে।
ম্যাচের অবস্থা এমন ছিল যে, ব্রাজিলিয়ান অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলাররা বলতে পারছিল না- ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’। আরেকটা গোল হজম করলেই ফিরে আসত ১১ বছর আগের সেই ‘সেভেন-আপে’র দুঃস্বপ্ন। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ ব্যবধানের হারটা আজও হজম করতে পারেনি ব্রাজিল।
তবে ব্রাজিলের কি আসলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচার উপায় আছে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এই হারও তাদেরকে ভালোই বেকায়দায় ফেলবে। কারণ জাতীয় দলের যে কোনো স্তর কিংবা পর্যায়েই (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে সিনিয়র দল) আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয়।
আরো পড়ুন:
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ
ব্রাজিলিয়ানদের কাঁধে চড়ে নক আউটে রিয়াল মাদ্রিদ
ব্রাজিলে সেতু ধসে নিহত ৩, নিখোঁজ ১৫
বিস্তারিত আসছে.
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক প আম র ক আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেড় শ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। অথচ তাঁর অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানিয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।
২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে একে একে মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।