বিপিএল আরও ভালো হতে পারত, ফাহিমের স্বীকারোক্তি
Published: 25th, January 2025 GMT
চলতি বিপিএলে বেশ ভালো রান হচ্ছে। তবে মানসম্মত ক্রিকেটার আনতে না পারা, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরোশোধ না করা, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা আক্রোশ ও স্পট ফিক্সিংয়ের শঙ্কার কারণে বিতর্কিত হয়ে গেছে বিপিএল। সমকালকে সাক্ষাৎকারে বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, বিপিএল আরও ভালো হতে পারত।
বিপিএলের বিতর্ক নিয়ে তিনি জানান, বিপিএল শুরুর আগে কিছু বিষয় নিয়ে তাদের শঙ্কা ছিল। কিন্তু যে বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে শঙ্কা ছিল না তাদের, ‘বিপিএলের কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে আমাদের শঙ্কা ছিল। যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে এতটা শঙ্কা ছিল না।’
শঙ্কার জায়গা নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘শঙ্কা ছিল যে উইকেট কেমন হয়। ধন্যবাদ, উইকেট খুব ভালো হয়েছে। খেলোয়াড়দের পেমেন্ট অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়তো ঠিকঠাক দিচ্ছে না। আমরা দেখেছি, পেমেন্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। মাঠে খেলার স্প্রিট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এগুলো না হলে আরও ভালো হতে পারত।’
পারিশ্রমিক ও স্পট ফিক্সিং সংক্রান্ত সমস্যা দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কারণে কিনা এমন প্রশ্নে ফাহিম জানান, এ বিষয়ে তিনি সরাসরি মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে বিতর্কিত বিষয়গুলো তাদের নজরে আছে।
তিনি বলেন, ‘যেদিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে, সেটা খুব স্পর্শকাতর ব্যাপার। এই বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে পারি না। তবে বিষয়গুলোতে আমাদের চোখ আছে। আমাদের দুর্নীতি দমন বিভাগ সব কিছু খেয়াল করছে। এটা সব দেশেই খেয়াল করে। আমরা কোনো প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব। প্রমাণ ছাড়া কোনো মন্তব্য করলে ভুল হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।