Samakal:
2025-08-02@08:48:59 GMT

মনের অসুখ

Published: 25th, January 2025 GMT

মনের অসুখ

মন কি প্রাণিসত্তার অংশ নয়? সেটি তো সবচেয়ে বড় অংশ, যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। দৃশ্যমান নয় বলে মনের কি অসুখ হতে পারে না? জ্বর, ঠান্ডা, ক্যান্সার, টিউমার, কভিড ইত্যাদি সমস্যার ব্যাপারে আমরা অবগত। আমরা মনের একটা রোগের নাম বলতে পারি না। বাংলাদেশে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ প্রতিবছর আত্মহত্যা করে এবং পৃথিবীতে এর সংখ্যা প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও আমরা কি এ বিষয় নিয়ে জানার প্রায়োজন বোধ করি? 

মনের বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। যেমন– ওসিডি বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। এই রোগে ভুক্তভোগীরা একই কাজ বার বার করে। কারণ, তারা কাজটি করে শান্তি পায় না। মনে হয় ভালো হলো না। ভুল হচ্ছে। তাই তারা একই কাজ বারবার করে; যাকে আমরা শুচিবাই বলে থাকি। অনেকেরই এটি থাকে।  ঝামেলা তখন বাধে যখন এটি মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। আশপাশের সবাই না বুঝে বকাঝকা করে নানান কথা বলে, কিন্তু এই ব্যাপারটা তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সে বুঝতে পেরেও সেটি বন্ধ করতে পারে না। দীর্ঘদিন এ যন্ত্রণা ভোগ করতে না পেরে অনেকে মৃত্যুকে বেছে নেয়। চিকিৎসক দেখিয়ে কিছু ওষুধ খেলেই এটি সেরে যায়। দরকার শুধু একটু সচেতনতা আর পাশে থাকে এমন একজন মানুষ। 

মনের আরেকটি রোগের নাম বাইপোলার ডিসঅর্ডার। এটি মনের অন্যতম কঠিন একটি রোগ। যেখানে আপনার মন হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যাবে। এই খুশি, আবার এই কান্না। মাঝ রাতে উঠে মেকআপ করতে বসবেন। আবার করতে করতেই হঠাৎ এসে শুয়ে কাঁদতে থাকবেন। এটি একটানা অনেকদিন থাকতে পারে। যেমন আপনি তিন দিন ধরে খালি শুয়েই আছেন আর কাঁদছেন অথচ নিজেও জানেন না। 
ইনসুমনিয়া তথা নিদ্রাহীনতা মনের আরেকটি রোগের নাম। এক, দুই, চার দিন পর্যন্ত নির্ঘুম কেটে যেতে পারে।  দীর্ঘদিন এভাবে গেলে সমস্যাটি প্রকট আকারে রূপ নেয়। দীর্ঘদিন ঘুম না হওয়ার কারণে মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে হ্যালুসিনেশন, রাগ, সন্দেহ, আত্মঘাতীমূলত পদক্ষেপও দেখা দেবে। এমন হলে দরকার সঠিক চিকিৎসা এবং কিছু কাউন্সেলিং।
মনের রোগ হিসেবে হতাশা বা ডিপ্রেশনের কথা আমরা সবাই শুনে থাকি। খুবই সাধারণ ঘটনা। চাকরি না থাকা, দীর্ঘদিন এক রুটিন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া, কাঙ্ক্ষিত বা প্রিয় জিনিস না পাওয়া ইত্যাদি। প্রাথমিক পর্যায়ের হতাশা তেমন কোনো সমস্যা নয়। দু’দিন পর সেরে যাবে। বেশি ভয়াবহ হলে তখন সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে প্রিয় কাজটাও করতে ভালো লাগে না। কান্না আসে। মনে হয় কেউ নেই। একা লাগে। এমন সময় সবচেয়ে বেশি দরকার একজন মানুষ যে আপনাকে বোঝে। আপনার হাতটা শক্ত করে ধরে থাকবে। নিজের চেষ্টা আর সামান্য ওষুধে এটি ঠিক হয়ে যায়।

মনের আরেকটি রোগের নাম ফোবিয়া। এ রোগে ভুক্তভোগীরা খুব বেশি ভয় পায়। তেলাপোকাকে অনেকে ভয় পেতে পারে। এ ভয় পাওয়াটা তেমন কিছু না। ফোবিয়ার বিষয়টি বেশ মাত্রাতিরিক্ত। এ ধরনের মানুষগুলোকে মজার ছলে হলেও ভয় দেখানো যাবে না। এতে তার হৃদযন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এটিও একধরনের মানসিক সমস্যা। 
মনের রোগ কখন কার হবে কেউ জানে না। ঠিক তেমন যেমন আমার কবে জ্বর হবে বলতে পারি না। পারিবারিক কলহ, কোনো ট্রমা, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের কারও 
রোগ বা এমন যেকোনো কারণে এটি হতে পারে।

সিদরাতুল মুনতাহা ঐশ্বর্য: ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২০.৫৬ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২৪.৮০ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯.৭০ টাকা। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে রহিমা ফুড

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ১৬.১৯ শতাংশ, সিঙ্গার বাংলাদেশের ১১.৪৭ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকের ১০.৮১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ১০.৪২ শতাংশ, বে-লিজিংয়ের ৯.৮০ শতাংশ, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৭২ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ৯.৫২ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৯.২৬ শতাংশ ও ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৮.৮২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ