জামালপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিলের প্রতিবাদে শহরের দয়াময়ী চত্বরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
আন্দোলনরতরা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে শহরের দয়াময়ী চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা ও আসামিদের দ্রুত জামিনের প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখায় যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদের। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.

কে. এম. আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আন্দোলনের যে বিষয় রয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করব। প্রশাসন সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ