সালমান-আনিসুল-পলকসহ ১২ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
Published: 27th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, দেশ টিভির ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ হাসান, সাংবাদিক ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদ, পল্লবী থানার ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক।
আজ সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর পৃথক পৃথক থানার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তারা। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকী গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।
এর মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি ও সুত্রাপুর থানার ১টি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার ২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বানিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যাত্রাবাড়ী থানার ১ মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যাত্রাবাড়ী থানার ৩ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যাত্রাবাড়ী থানার ১ মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, মিরপুর মডেল থানার ১ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মিরপুর থানার ১ মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কোতোয়ালি থানার ১ মামলায় দেশ টিভির ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ হাসান, মিরপুর থানার ১ মামলায় সাংবাদিক ফারজানা রুপা, মিরপুর থানার ১ মামলায় শাকিল আহমেদ, কাফরুল থানার ১ মামলায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদ, হাতিরঝিল থানার ১ মামলায়পল্লবী থানার ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’
ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’