বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, দেশ টিভির ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ হাসান, সাংবাদিক ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদ, পল্লবী থানার ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক।

আজ সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। 

এদিন সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর পৃথক পৃথক থানার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তারা। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকী গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।

এর মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি ও সুত্রাপুর থানার ১টি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার ২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বানিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যাত্রাবাড়ী থানার ১ মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যাত্রাবাড়ী থানার ৩ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যাত্রাবাড়ী থানার ১ মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, মিরপুর মডেল থানার ১ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মিরপুর থানার ১ মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কোতোয়ালি থানার ১ মামলায় দেশ টিভির ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ হাসান, মিরপুর থানার ১ মামলায় সাংবাদিক ফারজানা রুপা, মিরপুর থানার ১ মামলায় শাকিল আহমেদ, কাফরুল থানার ১ মামলায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদ, হাতিরঝিল থানার ১ মামলায়পল্লবী থানার ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন ত র ব ষয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

না’গঞ্জ আদালতের এজলাসের প্রবেশমুখে সাবেক আইনমন্ত্রীকে মারধর (ভিডি

নারায়ণগঞ্জে আদালতের এজলাসের প্রবেশমুখে বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মারধরের শিকার হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় রিমাণ্ড শুনানির জন্য নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তোলা হয় তাকে বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।

তিনি বলেন, হত্যা মামলাটিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমাণ্ড আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, দুপুরে আদালতে তোলার সময় বাইরে  বিএনপন্থী আইনজীবীরা ‘আনিসুল হকের ফাঁসি’ চেয়ে স্লোগান দেন। শুনানি শেষে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় প্রবেশমুখে তাকে চর-থাপ্পর দেন বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। 

এই সময় আনিসুল হকের মাথায় পুলিশের হেলমেট ছিল। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সাবেক এ আইনমন্ত্রীকে নিয়ে দৌঁড়ে আদালতের বারান্দা ত্যাগ করেন এবং একইভাবে তাকে দ্রুততার সাথে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

গণমাধ্যমকর্মীদের ধারণ করা ভিডিওতেও এজলাসের প্রবেশমুখে আনিসুল হককে চর-থাপ্পর দিতে দেখা যায়। 

প্রিজন ভ্যানে থাকা অবস্থায়ও বাইরে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, আনিসুল হকের ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগন দিতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। 

শুনানির আগে ও পরে বিএনপির মিছিলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধানকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, এজলাস থেকে বের হওয়ার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়, পরে পুলিশ দ্রুততার সাথে আসামিকে প্রিজন ভ্যানে তোলে। কিন্তু সেখানে কেউ চর-থাপ্পর দিয়েছে এমনটা আমার নজরে পড়েনি।

যোগাযোগ করা হলে ‘আনিসুল হককে উৎসুক জনগণ মারধর করেছে’ বলে জানিয়ে এতে বিএনপন্থী আইনজীবীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির।

তিনি আরও বলেন, ফাঁসির দাবিতে মিছিল করছি আমরা কিন্তু চর-থাপ্পর দিছে জনগণ। আইনজীবীরা কেন মারবে, তাদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে, সেই ক্ষোভ থেকে জনগণ তাকে মারধর করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জ আদালতের এজলাসের ভেতর সাবেক আইনমন্ত্রীকে মারধর (ভিডিও)
  • না’গঞ্জ আদালতের এজলাসের প্রবেশমুখে সাবেক আইনমন্ত্রীকে মারধর (ভিডিও)
  • না’গঞ্জ আদালতের এজলাসের প্রবেশমুখে সাবেক আইনমন্ত্রীকে মারধর (ভিডি
  • নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কিল-ঘুষি
  • নারায়ণগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক আইনমন্ত্রীকে কিল-ঘুষি
  • নারায়ণগঞ্জের আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কিলঘুষি