Samakal:
2025-04-30@20:51:16 GMT

বেতন দাবিতে মহাসড়কে

Published: 27th, January 2025 GMT

বেতন দাবিতে মহাসড়কে

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
সোমবার রাত ৮টার দিকে বোর্ডবাজার এলাকার কালাই মার্কেটের নুর এসএমএস ফ্যাসন ওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা দুই মাসের বকেয়া বেতনের পরিশোধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক ঘণ্টা পর তাদের সরিয়ে দেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, বোর্ডবাজার এলাকায় একটি ভবন ভাড়া নিয়ে এক ব্যক্তি উপঠিকায় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতেন। নুর এসএমএস ফ্যাসন নামের ওই কারখানার মালিক বেতন পরিশোধ না করে পালিয়ে গেছে– এমন খবরে ভবন মালিক কারখানায় তালা লাগিয়ে দেন। সোমবার বিকেলে শ্রমিকরা দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানা চত্বরে জড়ো হচ্ছিলেন। পরে ভবন মালিক তালা লাগিয়ে দেওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’

কক্সবাজার জেলার লোকসংগীত শিল্পী বুলবুল আক্তার। এই শিল্পী নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের নিজস্ব ভাষা, সুর ও সংস্কৃতি। কালো বোরকার ফ্যাশনে সাধারণ ও সরল চেহারার এই শিল্পীর দরদি কণ্ঠে ফুটে ওঠে প্রেম, বিরহ, সমাজ ও প্রান্তিক জীবনের গল্প। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গেয়েছেন ‘মধু হইহই বিষ খাওয়াইলা’ ও ‘হালাসান গলার মালা’।

রসিক আড্ডার আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে এই আয়োজন চলে। দুপুরে বৃষ্টি এলে ভিজে বৃষ্টিবিলাসে মেতে ওঠেন আয়োজক এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসা অনেকে।

অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া। দূর থেকে মঞ্চে তাকালে বাঙালির ঐতিহ্যই চোখে ভেসে ওঠে। মঞ্চ তৈরি করা হয় প্রতীকী গ্রামবাংলার দৃশ্য কলাগাছ ও খড়ের ঘর দিয়ে। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের বর্ষবরণকে ফুটিয়ে তুলতে এই আয়োজনে ছিল ধামাইল নাচ, চাকমা, মারমা ও খুমি জনগোষ্ঠীর নৃত্য ও আধুনিক নৃত্য। ব্যান্ডের মধ্যে ছিল ফিরোজ জঙ, আপনঘর, Sacrament-গারো ব্যান্ড, ব্যান্ড লাউ।

এই আয়োজনে গ্রামীণমেলায় ছিল নাগরদোলা, বানরখেলা, রণপা, বায়োস্কোপ ও পুতুলনাচ। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের খাবার ও পোশাকের স্টল ছিল।  

আয়োজকদের একজন নাহিয়ান ফারুক বলেন,  রসিক আড্ডা বাংলাদেশের সংস্কৃতি পাঠ ও তা চর্চা করে। রসিক আড্ডার তিনটি ম্যাগাজিন রণপা, কলন্দর ও সিনেযোগ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি–নির্ভর আলোচনা করে এবং তা জনপরিসরে ফুটিয়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ