কাঁচা বাজার বসার জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকার পরও শহরের মীর জুমলা সরকারি স্টাফ কোয়াটারের রাস্তার উপর বসছে কাঁচা বাজার। এর ফলে সরকারি স্টাফ কোয়াটারের বসবসরত সরকারি কর্মচারীদের, বাজারে আসা-যাওয়া সকল ক্রেতাদের, স্কুল কলেজের আসা যাওয়া সকল ছাত্র ছাত্রীসহ সাধারন মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। 

ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল বিক্রির পর পচা খারাপ সবজিগুলো রাস্তায় ফেলে রাখার ফলে চলাচলের রাস্তাটি ময়লা স্তুপে পরিণত হয়। পচা সবজি থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আশপাশের বসবাসরত মানুষের থাকা এবং রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। ময়লা রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা ও বৃদ্ধ লোকেরা পা পিছলে পড়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। 

পচা ময়লার দুর্গন্ধের কারনে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে মীর জুমলা সরকারি স্টাফ কোয়াটারের বসবসরত সরকারি কর্মচারীগণ। কাঁচা বাজার বসার জন্য মার্কেটের ভিতর নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। নির্ধারিত জায়গায় কাঁচা বাজার না বসিয়ে মানুষের চলাচলের রাস্তায় কাঁচা বাজার বসিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। 

এদিকে মীর জুমলা সরকারি স্টাফ কোয়াটারের রাস্তার উপর থেকে কাঁচা বাজার সরিয়ে নির্ধারিত মার্কেটের ভিতর কাঁচা বাজার বসার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গনপূর্তি বিভাগ নারায়নগঞ্জের নিকট মীর জুমলা সরকারি স্টাফ কোয়াটারের বসবসরত সরকারি কর্মচারীগণ আবেদন করলেও তা ফাইলবন্ধি অবস্থায় পড়ে আছে। 

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আমরা মীর জুমলা সরকারি স্টাফ কোয়াটারের বসবসরত সরকারি কর্মচারীগণ আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি, যাহার উপরে বসে কাঁচা বাজার কিন্তু ব্যবসায়িরা তাদের মালপত্র বিক্রয় করার পরে, পঁচা সবজিগুলো রাস্তার উপরে ফেলে রাখে যাহার ফলে রাস্তাটি ময়লা স্তুপে পরিণত হয়। 

যার ফলে আমাদেরসহ বাজারে আসা, সকল ক্রেতা ও স্কুল কলেজের আসা যাওয়া সকল ছাত্র ছাত্রীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। বৃষ্টি হলে উক্ত রাস্তা যাতায়াতের অনুপুযোগী হয়ে পড়ে। এটা পরিস্কার করা হলেও মাঝে মাঝে দুই একদিন বন্ধ থাকে কিংবা অর্ধেক রাস্তা পরিস্কার করা হয়। 

উক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দুপুর ১২টার পরে পরিস্কার করার জন্য আসে। দেখা যায় পরিস্কার করার জন্য সারাদিন সময় লেগে যায়। যাহার ফলে সারাদিন উক্ত রাস্তা দিয়ে যাহারা চলাচল করে তাহাদেরকে সারাদিন ময়লার ভিতর দিয়ে যাতায়েত করতে হয়। ছোট ছেলে-মেয়েরা ও বৃদ্ধ লোকেরা পা পিছলে পড়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। 

কাঁচা বাজারের জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকাও স্বত্তেও তারা রাস্তার উপর কাঁচা বাজার বসিয়ে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করছে, যা আমাদের ও বাজারে আসা জনসাধরণের জন্য অসুবিধার সম্মুখিন হয়। এমতাস্থায়, নির্ধারিত কাঁচা বাজারের মার্কেট থাকলেও তারা রাস্তার উপর কাঁচাবাজার বসিয়ে আমাদের ও জনসাধারণের জন্য অসুবিধার সম্মুখিন করছে। 

উক্ত কাঁচা বাজারটি নির্ধারিত স্থানে অর্থাৎ মার্কেটে বসানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসক মহোদয়ের দয়া দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অতএব, মহোদয়ের নিকট আমাদের আকুল আবেদন উক্ত অসুবিধা থেকে যাহাতে আমরা রক্ষা পেতে পারি এবং কাঁচা বাজারের মার্কেটে অর্থাৎ নির্ধারিত স্থানে বসানোর জন্য তার প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনাবের নিকট সবিনয় নিবেদন জানাচ্ছি। 

আবেদনের পরও সিটি কর্পোরেশন থেকে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। তাই সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মীর জুমলা সরকারি স্টাফ কোয়াটারের বসবসরত সরকারি কর্মচারীগণ। 
 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র স ত র উপর র জন য ব যবস ধরণ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। 

দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি। 

সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ