এক গণমাধ্যমে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সর্বোচ্চ ১৫ জন
Published: 29th, January 2025 GMT
একটি গণমাধ্যমে ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১৫ জন সংবাদকর্মী প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পাবেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে এমন প্রস্তাব রেখে একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। এই সুপারিশমালা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হয়েছে। তাদের কাজ হবে বিদ্যমান নীতিমালাকে পর্যালোচনা করা, যাতে গণমাধ্যমকর্মীরা আরো সহজভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। দ্রুতই নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কার্ড দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত বিদ্যমান কার্ড চালু থাকবে।’’
উপপ্রেস সচিব বলেন, ‘‘২০২২ সালের নীতিমালার বেশকিছু বিষয়ে সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন, আগের নীতিমালার প্রথম ধারায় বলা হয়েছিল, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেতে হলে সরকারের উন্নয়ন-সাফল্য তুলে ধরতে হবে। কার্ডধারীরা বিদেশে যেতে হলে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। এবার এ ধরনের ধারা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। আগে কোনো প্রকার নিয়ম না মেনেই ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিকদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। আবার এমন গণমাধ্যম আছে, যাদের ৩০-৩৫টি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, কিন্তু তাদের সে রকম তৎপরতা চোখে পড়েনি। লেখালেখিতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে কার্ড পেতে পারবেন। মফস্বলের সংবাদকর্মীদেরও কীভাবে স্থানীয়ভাবে কার্ড দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেও সুপারিশ থাকবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘যদি কেউ কার্ড না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন, তাদের আপিলেরও ব্যবস্থা থাকবে। নতুন নীতিমালায় অস্থায়ী-স্থায়ী কোনো কার্ড থাকবে না। সব কার্ডের মেয়াদ হবে তিন বছর। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু হলেই তার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হবে না, অভিযোগ প্রমাণিত হলেই বাতিল হবে। সার্কুলেশনের ভিত্তিতে কার্ড ইস্যুর নিয়ম তুলে দেওয়া হবে। সরকার নিবন্ধিত সব গণমাধ্যমের কর্মীরাই আবেদন করতে পারবেন।’’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার অভিযোগ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে নারী অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে জুতাপেটা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই কয়েকজন নারী অভিভাবক তাঁর কক্ষে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। এতে তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
হামলায় অংশ নেওয়া জাহিন ওরফে জাহি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর সময় মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। একই অভিযোগ করেন সুমি বেগম নামে আরেকজন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরে স্যারকে জানিয়েছিলাম। স্যার তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাঁকে হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করি।’
মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের ভাষ্য, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।