বগুড়া প্রফেশনালস ক্লাবের এক্সিকিউটিভ বোর্ড গঠিত
Published: 29th, January 2025 GMT
বগুড়ার পেশাজীবীদের পারস্পরিক যোগাযোগ, আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিমকে প্রেসিডেন্ট এবং ব্যাংকার ও গবেষক মুহাম্মাদ মাছুদুর রহমানকে ক্লাব সেক্রেটারি করে বগুড়া প্রফেশনালস্ ক্লাবের প্রথম এক্সিকিউটিভ বোর্ড গঠিত হয়েছে।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশে কর্মরত অ্যাডিশনাল এসপি মো.
গঠনতন্ত্র মোতাবেক ক্লাবের ফাউন্ডারদের মনোনয়নে উপদেষ্টা পর্ষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ওই বোর্ড অনুমোদিত হয়। ক্লাবটি ২০২১ সালের ০৯ ই জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে। বিগত বছরগুলোতে বগুড়ার পেশাজীবীদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে এগিয়েছে। সেই অগ্রগতির প্রেক্ষিতেই ক্লাবকে কাঠামোগতভাবে আরো শক্তিশালী করার নিমিত্তে এই নির্বাহী বোর্ড গঠিত হলো।
এই ক্লাবের সঙ্গে এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার পেশাজীবী যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া বিজ্ঞ উপদেষ্টারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে ক্লাবটিকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সহযোগিতা করছেন।
এই এক্সিকিউটিভ বোর্ড শিগগিরই একটি এক্সিকিউটিভ/ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে ক্লাবের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ
দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।
ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।
ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।
মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।