১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ সফল করতে ১১ জুলাই শুক্রবার সকালে বন্দর থানাধীন নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড গুকুলদাশের বাগ এলাকায় জামে মসজিদে বৃক্ষ রোপনের মধ্যে দিয়ে গণসংযোগ করেন।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরন, জুলাই সহ সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণা পত্র বাস্তবায়ন সহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে গুকুলদাশের বাগ, মুরাদপুর, মদনপুর, ফুলহর সহ আশেপাশে এলাকায় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে গণসংযোগ করেন।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন আমরা এই বন্দর বাসীকে একটি ম্যাসেজ দিতে চাই  আল্লাহর  আইন, ও সৎ লোকের শাসন, প্রতিষ্ঠা করতে পারি এবং কোরআনের আইন মেনে জীবনকে পরিচালনা করি  তখনই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো„। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে যদি এ আসনে আপনারা দাড়ি পাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন।  তাহলে এখানে কোরআনের আইন যেমন প্রতিষ্ঠা হবে, তেমনি বৈষম্যতা দূর হবে, হানাহানি কাটাকাটি থাকবে না। বন্দরে মাটি ভূমি, দূস্যদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। আমরা চাই, মানুষের খেদমত করতে।

তাই আসুন আমরা আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বেশি করে গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই, আর কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী বন্দর উত্তর সাংগঠনিক থানা আমীর মাওলানা মুফতি আতিকুর রহমান, মহানগরী শূরা সদস্য মো জাকির হোসাইন, বন্দর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, থানা সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম, থানা কর্ম পারিষদ সদস্য ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সেক্রেটারি পর্যায়ের জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মাদুরোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগ এবং মার্কিন নিরাপত্তার আওতায় দেশ ত্যাগ করার বিকল্প ফুরিয়ে আসছে। গত মাসে একটি সংক্ষিপ্ত ফোন কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতার একাধিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই ফোন কল সম্পর্কে অবহিত চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

২১ নভেম্বরের এই ফোন কলটি ভেনেজুয়েলার উপর কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপের পরে এসেছিল। ভেনেজুয়েলাকে যেসব মার্কিন চাপ সামাল দিতে হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌকাগুলোর ওপর হামলা, ট্রাম্পের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের বারবার হুমকি এবং কার্টেল দে লস সোলসসহ মাদুরোকে অন্তর্ভুক্ত করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা।

মাদুরো এবং তার সরকার সবসময় অপরাধমূলক অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং বলেছে যে তেলসহ ভেনেজুয়েলার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন চাইছে।

তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ফোনালাপের সময় মাদুরো ট্রাম্পকে বলেছিলেন যে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ আইনি ক্ষমা পেলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক, যার মধ্যে রয়েছে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার মুখোমুখি একটি প্রধান মামলার অবসান।

এর পাশাপাশি মাদুরো ভেনেজুয়েলার সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেছিলেন, যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার বা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুটি সূত্রের মতে, মাদুরো নতুন নির্বাচনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করতে বলেছিলেন।

১৫ মিনিটেরও কম সময় ধরে চলা এই ফোনালাপে মাদুরোর বেশিরভাগ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি মাদুরোকে বলেছিলেন যে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে তার পছন্দের গন্তব্যে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় আছে।

শুক্রবার সেই নিরাপদ পথের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর ফলে ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা করেন যে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে বলে দুটি সূত্র জানিয়েছে।

রবিবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে তিনি মাদুরোর সাথে কথা বলেছেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। হোয়াইট হাউস আরো বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ