এস আলম ও সংশ্লিষ্টদের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি ক্রোকের আদেশ
Published: 30th, January 2025 GMT
বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা দামের ৫৮ একরের বেশি জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক আবু সাইদ এসব জমি ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
ক্রোক করা জমিগুলো হলো— চট্টগ্রামের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দশমিক ১৬৩৭ একর জমি, যার দাম ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একই ওয়ার্ডে আরেকটি জমি, যার পরিমাণ দশমিক ১৩৫০ একর, দাম ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের ১ নম্বর পাথরঘাটা ইউনিয়নে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নামে থাকা ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি, বাজারমূল্য ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। ওই ইউনিয়নেই দশমিক ৯০ একর জমি, যার দাম ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং ১ দশমিক ২০ একর জমি, দাম ৬০ লাখ টাকা। পটিয়া উপজেলায় এস আলম কোল্ড স্টিল লিমিটেডের দশমিক শূন্য ৬ একর জমি, যার দাম ৩০ হাজার টাকা। পটিয়ার শিকলবাহা ইউনিয়নের এক কানি দুই কড়া জমি, যার দাম ২১ লাখ টাকা। একই এলাকায় দশমিক ২৮ একর জমি, যার দাম ১৪ লাখ টাকা; দশমিক ৪১৫০ একর জমি, যার দাম ২১ লাখ টাকা; দশমিক ২৬ একর জমি, যার দাম ১৩ লাখ টাকা; দশমিক ৩২ একর জমি, যার দাম ১৬ লাখ টাকা; দশমিক ৮০ একর জমি, যার দাম ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা; দশমিক ১৪ একর জমি, যার দাম ৮০ হাজার টাকা; শূন্য দশমিক ৬ একর জমি, যার দাম ৩০ হাজার টাকা; দশমিক ১৮৫০ একর জমি, যার দাম ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা; দশমিক শূন্য ৬ একর জমি, যার দাম ৩ লাখ; দশমিক ১৫ একর জমি, যার দাম ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা; দশমিক ৫৭৫০ একর জমি, যার দাম ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা; দশমিক ১২ একর জমি, যার দাম ৬০ হাজার টাকা এবং দশমিক শূন্য ৫ একর জমি, যার দাম ১২ হাজার টাকা। নারায়াণগঞ্জে স্যাভোলা অয়েল লিমিটেডের ১ দশমিক ৩৮৫০ একর জমি ও ২ হাজার বর্গফুটের সেমি পাকা বাড়ি, যার দাম ১২ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা; ২ একর জমি, যার দাম ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা; দশমিক ৩৬৩৬ একর জমি, যার দাম ১ কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা; দশমিক ৩৪৬৯ একর জমি, যার দাম ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা; ১ দশমিক ৮২৪৩ একর জমি, যার দাম ৬ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার টাকা; ৩ দশমিক ৮২৬৪ একর জমি, যার দাম ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা এবং ২ দশমিক ১৮৮৯ একর জমি, যার দাম ৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার। ডেলটা অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ১ দশমিক ২১৫০ একর জমি এবং ১৫০০ বর্গফুটের পাকা বাড়ি, যার দাম ৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। দশমিক ১৭ একর জমি ও ৫০০ বর্গফুটের সেমি পাকা বাড়ি, যার দাম ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশমিক ৩৬৫০ একর জমি, যার দাম ৭৩ লাখ টাকা৷ ১ দশমিক ৬৩৫০ একর জমি, যার দাম ৬ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সানম্যান টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল মান্নানের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার কেশবপুরে এক দশমিক ৮৯ একর জমি, যার দাম ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ১ দশমিক ৪৬ একর জমি, যার দাম ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান গনির নামে থাকা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকার ৯ দশমিক ৪৩ একর জমি, যার দাম ১৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ৯ দশমিক ৪৩ একর জমি, যার দাম ৮২ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সাইফুল আলমের নিজ নামে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় ২৩ দলিলের ৪ দশমিক ৭০৭ একর জমি, যার দাম ৫ লাখ টাকা। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছেলের কাছ থেকে কেনা গুলশানের-২ এর ১০ কাঠা বা ১৬ দশমিক ৫০ শতক জমি, যার দাম ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনসারুল ইসলামের নামে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তেজতুরি বাজারের ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও ৩ হাজার বর্গফুটের ১ তলা দালান, যার দাম ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ব্লাইন্ড লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আহসানুল আলমের নামে থাকা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ১ বিঘা বা ৩৩ শতাংশ জমি।
ক্রোক করা মোট জমির পরিমাণ ৫৮ দশমিক ১৬৪৬ একর। এসব জমির মোট দাম ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধাকালে অনেক সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ ক্রোক না করা হলে অন্যত্র স্থানান্তরের আশঙ্কা আছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ৫০ হ জ র ট ক ১ দশম ক এস আলম এল ক য় ২৯ ল খ আলম র
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫