সরকারি কদম রসুল কলেজে উৎসবমূখর পরিবেশে তারুণ্য মেলা অনুষ্ঠিত
Published: 30th, January 2025 GMT
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” স্লোগানকে ধারণ করে ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি-২০২৫ খ্রি. রোজ বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারি কদম রসুল কলেজ ক্যাম্পাসে ২ দিনব্যাপি ‘তারুণ্যের মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কদম রসুল কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ প্রফেসর রওশন আক্তার ম্যাডাম(১৬তম বিসিএস)।
তিনি সরকারি কদম রসুল কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারি, মেলায় আগত বিভিন্ন স্টল এর স্বত্বাধিকারী এবং বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে বেলুন, ফানুস ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এই তারুণ্য মেলা ও সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করেন।
সরকারি কদম রসুল কলেজের তরুণ ছাত্র উদ্যোক্তা ছাড়াও চাষাড়া,বন্দর ও নারায়নগঞ্জের আশেপাশের এলাকার তরুণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের এবং সকল বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর,তরুণ,যুবক ও ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারি ও শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মেলা প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর ও প্রাণচাঞ্চলে ভরপুর হয়ে ওঠে।প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এই তারুণ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলা প্রাঙ্গণে আগত বিভিন্ন স্টল ও দোকানগুলোতে বিশেষ করে জামদানি শাড়ির স্টল, পিঠা ও কেক এর স্টল, ফাস্টফুড ও ডেজার্ট ফুডের স্টল,কোমল পানীয় এবং অর্গানিক ফুডের স্টল,ফুলের দোকানের স্টল,হোমমেড ফুডের স্টল,ফুচকার স্টল, মিষ্টান্ন দ্রব্যের স্টল,স্থানীয় নামিদামি খাবারের ব্র্যান্ডের স্টল,ব্যাগ ও কসমেটিক্স এর স্টল, কলেজের যুব রেড ক্রিসেন্ট এর স্টল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বইমেলার স্টল এবং অন্যান্য খাবারের দোকান গুলোতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের প্রচুর ভীর লক্ষ্য করা যায়।
'বন্দরের অক্সফোর্ড' খ্যাত সরকারি কদম রসুল কলেজে এরকম একটি ব্যতিক্রমী ও সুশৃংখল মেলার আয়োজন দেখে কলেজের শিক্ষক কর্সচারি, ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবক এবং স্থানীয় এলাকাবাসীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় এবং এজন্য তারা সরকারি কদম রসুল কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ প্রফেসর রওশন আক্তার স্যার এবং মেলার সার্বিক তত্ত্বাধানের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারিদের আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নতুন নতুন ছাত্র ও তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে এরকম মেলা আরো বেশি করে আয়োজন করা উচিত বলে মেলায় আগত দর্শনার্থী ও অভিভাবকগণ মতামত ব্যক্ত করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল জ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।