সবার আগে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত হয়েছে রংপুর রাইডার্সের। টানা আট ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি এখন শঙ্কায় দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখা নিয়ে। দুর্বার রাজশাহীর কাছে দুই ম্যাচে হারের পর গতকাল খুলনা টাইগার্সের কাছেও পরাজিত হলো দলটি।
গতকাল ৪৬ রানে হেরে খুলনাকে দিয়েছে সুপার ফোরের লাইফলাইন। রংপুর লিগ পর্ব শেষ করেছে ১৬ পয়েন্টে। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া খুলনার শেষ ম্যাচ শনিবার ঢাকা ক্যাপিটালের বিপক্ষে। ছন্দে থাকা খুলনা শেষ ম্যাচ জিতে গেলে রান রেটে এগিয়ে থেকে সুপার ফোরে খেলবে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়বে দুর্বার রাজশাহী। বরিশাল, রংপুরের পর সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করেছে চিটাগং কিংস। গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে ৯৬ রানে হারিয়েছে তারা। চিটাগংয়ের এ জয়ে আরেকটি সমীকরণ সামনে এসেছে। লিগের শেষ ম্যাচে বরিশালকে হারাতে পারলে রান রেটের জোরে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বরিশাল হবে তাদের প্রতিপক্ষ।
গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২২০ রান করে খুলনা। ৬৬ বলে ১১১ রানে অপরাজিত নাঈম। জবাবে সৌম্যর ৭৪ রানে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করে রংপুর। এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান করে চিটাগং। খাজা নাফায়া ৫২ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৫২ রান করেন। তানজিম হাসান সাকিব নেন তিন উইকেট। জবাবে শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ চারটি করে উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল র ন কর গতক ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।