মধ্যরাত থেকে ইজতেমা এলাকায় বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, বিকল্প নির্দেশনা
Published: 1st, February 2025 GMT
সুরায়ে নেজামের দুই ধাপের প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত রোববার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ইজতেমা এলাকায় মধ্যরাত থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জনিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। শনিবার সকালে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গাজীপুর মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার বলেন, শনিবার রাত ১২টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ী হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ সময় এসব সড়ক হয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি বা যান চলতে দেওয়া হবে না। তবে ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মুরব্বিরা জানিয়েছেন রোববার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত করবেন। কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে আমাদের নজর আছে। আশা রাখি, কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে না।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বকেয়া বেতনের দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুই ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খাঁপাড়া এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকদের এ কর্মসূচির কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, কারখানাটির দেড় হাজার শ্রমিক সকালে কাজে যোগ দিয়ে মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। তবে কর্তৃপক্ষ পরিশোধের তারিখ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে না পারায় শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁরা স্লোগান দিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এশিয়া পাম্প বাসস্ট্যান্ড নামের এলাকায় অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিল্প ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে শ্রমিকেরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিক্ষোভরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, ঈদের আগে তাঁদের অর্ধেক বেতন-বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়, ঈদের পরই বাকি টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনো কিছু পাননি তাঁরা। এ জন্য ঘরভাড়া ও দোকানের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, শ্রমিকেরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় আজ বেলা ১১টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।