ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমানকে সভাপতি এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. খায়রুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও কমিটির কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা.

মো. ওয়াসিম।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের ঢালী'স আম্বার রিসোর্টে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

নবগঠিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি পরবর্তী কার্যকাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে।

এর আগে সমিতির এজিএম উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম। 

সভায় সংগঠনের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, গবেষণা কার্যক্রম এবং চিকিৎসা উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় দুই শতাধিক রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। 

সভায় আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি পরবর্তী কার্যকাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রদান করবে। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ১৯৯৫ সালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশ গঠিত হয়। সংগঠনটি রক্ত পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত গবেষণা, উন্নয়ন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. ফারহানা ইসলাম, ডা. এফ. এম. এ. মো. মুসা চৌধুরী, ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. জেরিন মোসফেকা রহমান ও অধ্যাপক ডা. তাশমিম ফারহানা দীপ্ত। যুগ্ম সম্পাদক হলেন ডা. দানিশ আরেফীন বিশ্বাস, ডা. কাশফিয়া ইসলাম ও ডা. ফারহানা জামান।

এছাড়াও কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ডা. খান আনিসুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদের, প্রকাশনা সম্পাদক ডা. সোনিয়া শরমিন মিয়া, অফিস সম্পাদক ডা. এ.বি.এম. আল-মামুন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. জান্নাতুন নূর স্বর্ণা, গণমাধ্যম ও প্রচার সম্পাদক ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ডা. তামান্না আফরোজ।

সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির হলেন- ডা. মুরাদ সুলতান, ডা. কাজী নওশাদ হোসেন, ডা. মাঞ্জুমা রহমান, ডা. সাবরিনা ইয়াসমিন বিন্নী, ডা. জোবাইদা জান্নাত খুশী, ডা. তানজিন আরা করিম, ডা. তানজিলা তাবিব চৌধুরী, ডা. জেরিনা ফেরদৌস, ডা. হাসিবা আক্তার ভূঁইয়া, ডা. মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন মিয়া, ডা. জিনাত ঈশিতা আনসারি, ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা ও ডা. শারমিন ডালিয়া ইসলাম।

ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটির ২০২৫ সালের কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা হলেন অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম। উপদেষ্টামণ্ডলীতে আরও যারা আছেন অধ্যাপক ডা. জলি বিশ্বাস, অধ্যাপক ডা. হুসনে আরা বেগম, অধ্যাপক ডা. এম. এ. গফুর,  অধ্যাপক ডা. মুনশি মো. হাবিবুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: মঈন খান
  • বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ইবির শিক্ষার্থী নিহত
  • শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে হাজির হতে ২ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ 
  • স্থায়ী গুমবিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে: আইন উপদেষ্টা
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাসাস’র ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন
  • পুঁজিবাজার অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসির ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
  • মধ্যপ্রাচ্যকে ‘অতল গহ্বরে’ পতিত হওয়া রোধে ট্রাম্পের পরবর্তী
  • কী হতে পারে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণাম
  • ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকে বিচার-সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার