চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, প্রতি আসনে লড়েছেন ২২ জন
Published: 1st, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯৩১টি সিটের বিপরীতে এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২০ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতিটি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে লড়ছেন ২২ জন পরীক্ষার্থী।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চুয়েটের লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষা। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে চুয়েটের সহকারী রেজিস্টার রাশেদুল ইসলাম।
চুয়েট কর্তৃপক্ষ জানায়, পুর ও পরিবেশ কৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ১২টি বিভাগে মোট আসন রয়েছে ৯৩১টি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ২২ হাজার ৬৫১। তবে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম ২০ হাজার ১২২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ২২ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম শহরের আরো চারটি উপকেন্দ্রে। উপকেন্দ্রগুলো হলো- চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ, কাজেম আলী স্কুল ও কলেজ এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪ সালের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের ওপর ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য ৫০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। তবে ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের ৫০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি অংশগ্রহণ করতে হয়েছে ২০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায়।
ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ