Samakal:
2025-09-18@10:19:09 GMT

বইয়ের পাতার টাটকা ঘ্রাণ...

Published: 1st, February 2025 GMT

বইয়ের পাতার টাটকা ঘ্রাণ...

বইমেলা এলে অবাক হয়েই তাকিয়ে থাকেন পরিবারের বড় সদস্যরা। আমাদের তরুণরা নেটে পড়ে থাকে। খাবার টেবিলেও তারা ফেসবুক পড়ে। চলতি পথে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিত্যসঙ্গী। এত কিছুর পরও মেলার প্রথম দিন থেকেই তরুণদের মেলার পথে ছুটতে দেখে বড়রা চোখ কপালে তোলেন। নিজেদের বিশ্বাস করাতে পারেন না। এটিই এখন মেলাকেন্দ্রিক তরুণদের বাস্তবতা। 
বইমেলা যেভাবে এলো
বাংলা একাডেমির বটতলা চত্বরে ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩২টি বই দিয়ে চিত্তরঞ্জন সাহা বই প্রদর্শনী ও বিক্রি শুরু করছিলেন। সময়ের বিবর্তনে সেটিই আজ লাখো মানুষের প্রাণের মেলা হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে তৎসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন যারা, মূলত তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষার জন্য যুদ্ধ করে মুখের ভাষা রক্ষা করার যে অনন্য উদাহরণ, এটি জীবিত রাখার মানসেই একুশে বইমেলার নামকরণ। এসব ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে আজকের তরুণ সেলফিবাজরা! তারা বুক চিতিয়ে বলতে দ্বিধা করে না বাংলাই তাদের মাতৃভাষা।   
সভ্যতার শুরু থেকে
মানুষের বই পড়ার অভ্যাস সেই আদিকাল থেকেই। এই পাঠ্যাভ্যাসের তথ্য সভ্যতার শুরু থেকে। প্রথমদিকে বই অবশ্য দুর্লভ ছিল। তখনকার বই ছিল তালপাতার কিংবা মাটির পাতে। তারপর যখন বই হয়ে উঠল কাগজে ছাপানো বস্তু, তখন সেটি সুলভ হয়ে উঠল। সাধারণ মানুষও বই পড়তে শুরু করল। বই পড়া শুরু করার পরই বদলাতে শুরু করল জগৎ। বই কেন পড়া দরকার, সে সম্পর্কে দুনিয়াখ্যাত মহামানবরাও দিয়ে গেছেন নানা উক্তি। যেমন– স্পিনোজা বলেছেন, ‘ভালো খাবার পেট ভরায় আর ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।’ ওদিকে দেকার্তে বলে গিয়েছেন, ‘ভালো বই পড়া মানে সেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলা।’ ফরাসি যোদ্ধা ও সম্রাট নেপোলিয়ন তো জাহাজডুবির আগ পর্যন্ত বই পড়ার কথা বলেছেন। 
বদলে নিন নিজেকে
ছোট্ট একটা জীবন আমাদের। এই জীবন চলার পথে রাজ্যের মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার দেয়াল ঠেলে চলতে হয়। প্রতিনিয়ত আমরা কোনো না কোনোভাবে যাতনা ভোগ করি। এসব এড়ানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে বই। মাঝেমধ্যে আমরা বড়ই উদাসীন হয়ে যাই। এই উদাসীনতা কাটাতে বইয়ের বিকল্প নেই। তাই বই পড়ার অভ্যাস করুন। নিজের ভেতর থেকেই নিজেকে বদলে ফেলুন। 
তরুণদের এগিয়ে চলার সঙ্গী বই
প্রযুক্তিই জ্ঞানের সর্বোচ্চ ধাপ, এমন মনে করে না আজকের তরুণরা। তাদের এগিয়ে চলার সঙ্গী বই। তাই বলে প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলা যাবে না। যতটা তাদের কাজে লাগে, ঠিক ততটাই প্রযুক্তিমুখী হয় তারা। যারা লিখতে আসে, তাদের অনেকেই সাহিত্যমুখী। আগের লেখকদের লেখা পড়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে। তরুণদের কাছে বই একান্ত প্রিয় মানুষটির চেয়েও যেন আপন!u 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে

ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন

গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।

ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।

একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)

পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।

অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণ

কাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।

কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।

রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।

ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।

আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণ

কাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।

কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।

পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।

হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়

ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ

মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ

বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ

কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ী

সিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)

সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)

খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।

দাগ দূর করার টিপস

কোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।

এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।

পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

কাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।

কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।

লন্ড্রি পড ব্যবহার করলে

ছোট লোড: ১ পড

মাঝারি লোড: ২ পড

বড় লোড: ৩ পড

সূত্র: গুড হাউসকিপিং

আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ