Samakal:
2025-11-03@07:19:05 GMT

বইয়ের পাতার টাটকা ঘ্রাণ...

Published: 1st, February 2025 GMT

বইয়ের পাতার টাটকা ঘ্রাণ...

বইমেলা এলে অবাক হয়েই তাকিয়ে থাকেন পরিবারের বড় সদস্যরা। আমাদের তরুণরা নেটে পড়ে থাকে। খাবার টেবিলেও তারা ফেসবুক পড়ে। চলতি পথে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিত্যসঙ্গী। এত কিছুর পরও মেলার প্রথম দিন থেকেই তরুণদের মেলার পথে ছুটতে দেখে বড়রা চোখ কপালে তোলেন। নিজেদের বিশ্বাস করাতে পারেন না। এটিই এখন মেলাকেন্দ্রিক তরুণদের বাস্তবতা। 
বইমেলা যেভাবে এলো
বাংলা একাডেমির বটতলা চত্বরে ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩২টি বই দিয়ে চিত্তরঞ্জন সাহা বই প্রদর্শনী ও বিক্রি শুরু করছিলেন। সময়ের বিবর্তনে সেটিই আজ লাখো মানুষের প্রাণের মেলা হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে তৎসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন যারা, মূলত তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষার জন্য যুদ্ধ করে মুখের ভাষা রক্ষা করার যে অনন্য উদাহরণ, এটি জীবিত রাখার মানসেই একুশে বইমেলার নামকরণ। এসব ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে আজকের তরুণ সেলফিবাজরা! তারা বুক চিতিয়ে বলতে দ্বিধা করে না বাংলাই তাদের মাতৃভাষা।   
সভ্যতার শুরু থেকে
মানুষের বই পড়ার অভ্যাস সেই আদিকাল থেকেই। এই পাঠ্যাভ্যাসের তথ্য সভ্যতার শুরু থেকে। প্রথমদিকে বই অবশ্য দুর্লভ ছিল। তখনকার বই ছিল তালপাতার কিংবা মাটির পাতে। তারপর যখন বই হয়ে উঠল কাগজে ছাপানো বস্তু, তখন সেটি সুলভ হয়ে উঠল। সাধারণ মানুষও বই পড়তে শুরু করল। বই পড়া শুরু করার পরই বদলাতে শুরু করল জগৎ। বই কেন পড়া দরকার, সে সম্পর্কে দুনিয়াখ্যাত মহামানবরাও দিয়ে গেছেন নানা উক্তি। যেমন– স্পিনোজা বলেছেন, ‘ভালো খাবার পেট ভরায় আর ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।’ ওদিকে দেকার্তে বলে গিয়েছেন, ‘ভালো বই পড়া মানে সেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলা।’ ফরাসি যোদ্ধা ও সম্রাট নেপোলিয়ন তো জাহাজডুবির আগ পর্যন্ত বই পড়ার কথা বলেছেন। 
বদলে নিন নিজেকে
ছোট্ট একটা জীবন আমাদের। এই জীবন চলার পথে রাজ্যের মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার দেয়াল ঠেলে চলতে হয়। প্রতিনিয়ত আমরা কোনো না কোনোভাবে যাতনা ভোগ করি। এসব এড়ানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে বই। মাঝেমধ্যে আমরা বড়ই উদাসীন হয়ে যাই। এই উদাসীনতা কাটাতে বইয়ের বিকল্প নেই। তাই বই পড়ার অভ্যাস করুন। নিজের ভেতর থেকেই নিজেকে বদলে ফেলুন। 
তরুণদের এগিয়ে চলার সঙ্গী বই
প্রযুক্তিই জ্ঞানের সর্বোচ্চ ধাপ, এমন মনে করে না আজকের তরুণরা। তাদের এগিয়ে চলার সঙ্গী বই। তাই বলে প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলা যাবে না। যতটা তাদের কাজে লাগে, ঠিক ততটাই প্রযুক্তিমুখী হয় তারা। যারা লিখতে আসে, তাদের অনেকেই সাহিত্যমুখী। আগের লেখকদের লেখা পড়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে। তরুণদের কাছে বই একান্ত প্রিয় মানুষটির চেয়েও যেন আপন!u 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ