সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুই বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ১৪ বিঘা আয়তনের কালিঞ্চি সরকারি দিঘি থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ দুই নেতা হলেন উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ ও অর্থ সম্পাদক সোহরাব আলী। মাছ ধরায় বাধা দিলে তারা দাবি করেন, পাঁচ বছর আগে দিঘিটি লিজ নিয়ে মাছ ছাড়া হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে ১০/১২ জন জেলে নিয়ে কালিঞ্চি সরকারি দিঘিতে জাল টানতে শুরু করেন প্রশান্ত, সুকুমার ও শাহিন। এতে বাধা দিলে তারা বিএনপি নেতা সোহরাব আলীর নির্দেশে মাছ ধরার কথা জানান। জাল টেনে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে স্থানীয় সোনারমোড় মৎস্য আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন তারা।

ইউপি সদস্য আজগর আলী বুলু জানান, বহিরাগত জেলেদের নিয়ে সকাল থেকে মাছ লুট করা হয়। তিনটি মোটরসাইকেলযোগে ছয়টির বেশি বস্তায় করে এসব মাছ আড়তে নিয়ে বিক্রি করা হয়। কয়েকটি ভেটকি মাছ ২০ কেজিরও বেশি ওজনের। তিনি বলেন, আশপাশের ছয় গ্রামের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ এই দিঘির পানি ব্যবহার করে। এভাবে জাল টেনে মাছ ধরায় তারা দিঘি থেকে খাওয়ার উপযোগী পানি নিতে পারছেন না।

মাছ ধরার বিষয়ে সুকুমার মণ্ডলের ভাষ্য, প্রায় পাঁচ বছর আগে দিঘিতে এসব মাছ ছাড়েন সোহরাব আলী। তাঁর নির্দেশেই তারা মাছ ধরেছেন। এ বিষয়ে সোহরাব আলী বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে জেলা পরিষদের এ দিঘি লিজ নিয়ে বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ ও ছাত্রদল নেতা রাকিব হোসেন মাছ ছেড়েছিলেন।

আবদুল মজিদ দাবি করেন, মাছ ধরার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাকিব তাঁকে মাছ ধরার কথা জানিয়েছিলেন।

নিজেকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে রাকিব হোসেন বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা মুকুল জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তাঁর ডাকের দিঘির মাছ লুট করে নিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে তিনি তাঁর ছাড়া মাছ এতদিন পর তুলে নিয়েছেন।

সরকারি দিঘিতে এভাবে মাছ ধরার কথা না জানিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো.

খলিল হোসেন বলেন, দিঘি কাউকে ইজারা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ