ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রেজিস্ট্রারকে পদ ছাড়তে হুমকি ও তাঁর কার্যালয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তাঁর কার্যালয়ে নাশতা করছিলেন। এ সময় ছাত্রদলের ১০-১২ নেতাকর্মী তাঁর কক্ষে ঢুকে খারাপ আচরণ করেন এবং আগামী দিন থেকে কার্যালয়ে না আসতে হুমকি দেন। পরে তারা টেবিলের ওপর থাকা কাপ-পিরিচ ভেঙে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেজিস্ট্রার কার্যালয় ছাড়াও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, অর্থ ও হিসাব শাখার কিছু দপ্তরে গিয়ে হুমকি ও দরজা-জানালায় আঘাত করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা রেজিস্ট্রারের স্ত্রী এবং অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-হিসাব পরিচালক রুবিনা আক্তারের কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলের ওপর তুলে রেখে যান। এ সময় কার্যালয়ে ছিলেন না রুবিনা আক্তার। 

ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে এসব ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। বিভিন্ন কার্যালয়ে ভাঙচুর ও হুমকি প্রদান শেষে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘তারা ১০-১২ জন হঠাৎ রুমে প্রবেশ করে আমাকে গালাগাল করে, কাল থেকেই অফিসে না আসার হুমকি দেয় এবং টেবিলে থাকা কাপ-পিরিচ ভেঙে চলে যায়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। 

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ