চুমু কাণ্ড: ঊনসত্তরের উদিত বললেন, এতে পাপ নেই
Published: 2nd, February 2025 GMT
মঞ্চের সামনে তরুণী ভক্তের সেলফি তোলার আবদার মেটান ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। সেলফি তোলার পর উদিতের গালে চুমু খান ওই তরুণী। এরপর তরুণীর ঠোঁটে চুমু খেতে দেখা যায় এই গায়ককে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
ঊনসত্তরের উদিতের এমন কাণ্ডে অনেকে হতবাক। আবার কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন— এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফসল। তবে সব সন্দেহ উড়িয়ে উদিত স্বীকার করেছেন ভিডিওটি তারই। পাশাপাশি পুরো ব্যাপারটি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বরেণ্য এই শিল্পী।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে উদিত নারায়ণ বলেন, “এই ঘটনা কিন্তু কয়েক মাস আগের। নতুন করে কেন ভাইরাল করা হলো, বুঝতে পারছি না! সম্ভবত কেউ আমাকে কলঙ্কিত করতেই বিষয়টি ঘটিয়েছেন।”
আরো পড়ুন:
বরগুনায় সেতু ভেঙে খালে, হাজারো মানুষের ভোগান্তি
গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
খানিকটা সময় নিয়ে হাসতে হাসতে উদিত নারায়ণ বলেন, “এতে শাপে বর হয়েছে, উল্টো আমার জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।”
আপনার এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এ তথ্য জানানোর পর উদিত নারায়ণ বলেন, “আরে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এ রকম হয়েছে। অনুরাগিনীকে চুম্বন করেছি। সবটাই জনপ্রিয়তার কারণে। অনেকের অনেক রকম আবদার থাকে। পূরণ করি, পূরণ করতে হয়। দর্শক-শ্রোতাদের জন্যই তো আমরা আছি।”
ভক্তকে চুমু খাওয়ার বিষয়টি পরিবার জানে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে উদিত নারায়ণ বলেন, “মঞ্চের আশেপাশে অনেক সময় আমার স্ত্রী দীপা থাকে, ছেলে আদিত্য থাকে। সেদিনও আদিত্য মঞ্চে ছিল। ওর সামনেই সব ঘটেছে। কিচ্ছু মনে করে না ওরা। আমার জনপ্রিয়তায় ওরা খুব খুশি।”
সেলফি তুললে কি চুমু ফ্রি? এ প্রশ্ন রাখা হলে উদিত নারায়ণের কণ্ঠ গম্ভীর হয়ে যায়। তিনি বলেন, “বিষয়টি খামোখা কুৎসিতভাবে দেখানোর চেষ্টা চলছে। আমাদের হাতের পাতায় এভাবে কত ভক্ত চুমু খান। আমরাও করে থাকি। গালেও চুম্বন করা হয়। ঠোঁটে চুমু খাওয়া মানেই কিন্তু খারাপ নয়; এতে কোনো পাপ নেই।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনপ র য় ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।