‘ডিপসিক’ চ্যাটবটে দুনিয়া তোলপাড়। নির্মাতা চীন। ভবিষ্যতের এআই যুদ্ধে চীন-যুক্তরাষ্ট্র এখন মুখোমুখি। নতুন চ্যাটবট নিয়ে লিখেছেন সাব্বিন হাসান
ডিপসিক এরই মধ্যে এআই চ্যাটবটে যে ক্ষমতা ও জ্ঞানের পরিধির পরিচয় বিশ্বের সামনে দৃশ্যমান করেছে, তার নেপথ্যে কাজ করছে ‘আর-ওয়ান এলএলএ’ ঘরানার চ্যাটবট।
প্রশ্নোত্তরে চ্যাটবট যেমনই সদুত্তর উপস্থাপন সামনে আনুক না কেন, ডিপসিক আত্মপ্রকাশের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের এআই প্রযুক্তির উদ্ভাবক এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট, ওপেনএআই, গুগল ও মেটার তাৎক্ষণিক বাজারদর ও বৈশ্বিক মূল্যায়ন দ্রুত রেকর্ড হারে নিচে নেমে গেছে।
উদ্ভাবক কে!
লিয়াং ওয়েনফেং– সময়ের সাড়া জাগানো ডিপসিক প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান। জন্ম চীনের ঝিনজিয়াং শহরের সাধারণ পরিবারে। বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। লিয়াং যেন বড় কিছু করার জন্যই জন্মেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণ স্কুলে হলেও লিয়াং নিজ যোগ্যতায় বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন। গভীর ভাবনা নিয়ে কাজ করেছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে। সেটাই এখন তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণাকে ধ্যানজ্ঞান করেছেন লিয়াং। ২০১৩ সালে হ্যাংঝু ইয়াকেবি ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ২০১৫ সালে ঝেজিয়াং জিউহাং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট নামে দুটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৯ সালে হাই-ফ্লায়ার এআই প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১০ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি ব্যবসা করে।
ঠিক তার পরই লিয়াং সৃষ্টি করেন যুগান্তকারী ইতিহাস। ২০২৩ সালে নিয়ে আসেন ডিপসিক। সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা সবচেয়ে জটিল সমীকরণ এআই প্রযুক্তি, অর্থাৎ এজিআই (কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে উদ্ভাবন করেন ডিপসিক।
কী কারণে শঙ্কা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিপসিক কর্তৃপক্ষের দাবি সত্য হলে ওপেন সোর্স হওয়ার সঙ্গে মাত্র দুই মাসে ৬০ লাখ ডলারে যদি এমন চ্যাটবট ডেভেলপ করা যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্ভাবকরা এতদিন এমন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে যেভাবে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন, তা যে অর্থহীন, সেটি এখন প্রমাণের অপেক্ষায়। বলতে গেলে, নতুন আশঙ্কায় পড়েছে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার। অন্যদিকে এনভিডিয়া যে হাই-অ্যান্ড জিপিইউ চিপকে এআই মডেলের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড বলে তকমা দিয়ে আসছিল, তার পূর্ণ কার্যকারিতা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে ডিপসিক। কারিগরি দক্ষতার প্রশ্নে চ্যাটজিপিটি প্রধান স্যাম অল্টম্যান বা এনভিডিয়া কর্তৃপক্ষ যত কথাই বলুক না কেন, ডিপসিককে মিথ্যাবাদী বলে দাবি করেছেন টেসলাকর্তা ও নব্য প্রজন্মের প্রযুক্তি ধনকুবের ইলন মাস্ক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দুনিয়ায় মার্কিন আধিপত্য খুব বেশিদিন টেকসই হবে না, তার ইঙ্গিত মিলেছে। সুতরাং সহজেই অনুমেয়, বিশ্ব শেয়ারবাজার ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের হালচিত্র আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সমূলে বদলে যাবে। তবে কতটা বদলে যাবে আর মানবীয় সভ্যতায় তার প্রভাব কতটুকু দীর্ঘস্থায়ী হবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
ডিপসিক আদতে কী
ডিপসিক তৈরির গল্প কোনো ছবি থেকে কম নয়। যখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্ভাবকরা তাদের এআই মডেলকে এনভিডিয়ার এইচ১০০ টেনসর কোর জিপিইউতে প্রশিক্ষণ দেন, তখন লিয়াং ভাবেন ভিন্ন কিছু। চীনে পুরোনো ও সাশ্রয়ী এইচ৮০০ জিপিইউ ব্যবহার করে পরীক্ষা করেন ডিপসিকের সক্ষমতা। প্রায় ৫০ হাজার এইচ৮০০ জিপিইউ কিনে তার সহায়তায় ডিপসিককে প্রশিক্ষণ দেন লিয়াং। দামে সাশ্রয়ী অথচ কাজে দুর্দান্ত বলতে যা বোঝায়, ডিপসিক আসলে তাই। ডিপসিক উন্নয়নে খরচ হয় প্রায় ৬০ লাখ ডলার। তুলনা করলে যা চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবনের চেয়ে ১০ গুণ কম। হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ডিপসিক এনভিডিয়ার মতো বৃহৎ চিপ নির্মাতাকে তোয়াক্কা না করে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে, যা বিশ্বকে ডুবিয়েছে বিস্ময়ে।
ডিপসিক চ্যাটবটের প্রথম সংস্করণ আর-ওয়ান, যা আত্মপ্রকাশ করেছে। আগ্রহীদের কাছে দ্রুততম সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে। চ্যাটজিপিটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে ডিপসিক। চূড়ান্ত মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রতিযোগিতা যে আরও দুরূহ রূপ ধারণ করবে, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই।
ফ্রি ও ওপেন সোর্স মডেল
ওপেনএআই, গুগল ও মাইক্রোসফটের উদ্ভাবকরা এআইর মতো প্রযুক্তিকে প্রথমে ফ্রি অ্যাকসেস দেওয়ার কথা বলে পরে ব্যয়যোগ্য (পেইড) মডেলে রূপান্তর করছে।
সম্পূর্ণ ফ্রি ও ওপেন সোর্স মডেল হিসেবে সবার কাছে পৌঁছে যেতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ডিপসিক এআই প্রযুক্তির সাফল্য প্রমাণ করে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে যে কোনো সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা সম্ভব। সবার হাতেই এখন অসীম সুযোগের হাতছানি।
পুরোনো চিপে সাফল্য
ডিপসিক এআই সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে এনভিডিয়া এ১০০ ও এইচ৮০০ সিরিজের মতো পুরোনো চিপ ব্যবহার করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল। উদ্যোগটি প্রমাণ করে, সীমিত সম্পদ দিয়েও বিশ্বমানের প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব
সহজ ডেভেলপ
ডিপসিক পুরোপুরি ওপেন সোর্স হওয়ায় ডেভেলপাররা সহজেই কাস্টমাইজ করে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ও সময়োপযোগী করার সুযোগ পাবেন। ফলে বিশ্বের এআই গবেষক ও কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
চীনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে উন্নত চিপ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা চীনের প্রযুক্তি খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে। চিপ নির্মাতা, বিশেষ করে এনভিডিয়াকে চীনে ব্যবসা করতে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা চীনের প্রযুক্তি নির্মাতাদের স্বনির্ভর হতে বাধ্য করেছে
প্রো মডেল
মডেলটি শুধু ইমেজ জেনারেশনেই নয়, বরং ভিজ্যুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং পদ্ধতিতে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছে, যা চ্যাটজিপিটি মডেলকে সব দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছে
ইলন মাস্ক
প্রতিষ্ঠাতা, টেসলা
ডিপসিক কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার ‘এ১০০’ জিপিইউ চিপ ব্যবহার করে চ্যাটবটটি তৈরির যতই গল্প বলুক না কেন, মডেলের দূরদর্শিতা দেখে মনে হচ্ছে তা অন্তত ৫০ হাজার হাই-অ্যান্ড হুপার জিপিইউ চিপ দিয়ে উদ্ভাবিত, যার প্রতিটি চিপের দাম ৪০ হাজার ডলার
লিয়াং ওয়েনফেং
ডিপসিক উদ্ভাবক
ও নির্বাহী প্রধান
ফ্রি মডেল
ডিপসিক মূলত অর্থ ছাড়া বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়াকে প্রধান লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছে। সম্পূর্ণ ফ্রি ও ওপেন সোর্স মডেল হিসেবে সবার কাছে পৌঁছে যেতে প্রতিযোগিতা করছে
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনভ ড য় কর ছ ন র এআই এআই প
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূসের সংস্কারের অঙ্গীকারের এক বছর পরেও কারাগারে সাংবাদিকেরা: সিপিজে
সাংবাদিক ফারজানা রুপা চলতি বছরের ৫ মার্চ ঢাকার একটি জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবী ছাড়াই দাঁড়িয়েছিলেন। বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করছিলেন। ইতিমধ্যে অন্য মামলায় কারাগারে থাকা এই সাংবাদিক শান্তভাবে জামিনের আবেদন জানান। ফারজানা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি একজন সাংবাদিক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট।’
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপার বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলা রয়েছে। আর তাঁর স্বামী চ্যানেলটির সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদের নামে রয়েছে আটটি হত্যা মামলা।
এক বছর আগে ছাত্রদের নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বিক্ষোভ চলাকালে দুজন সাংবাদিক নিহত হন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের অধীন সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নভেম্বরে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, সরকার তখন থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করে দিয়েছে। মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু প্রায় এক বছর পর এখনো সাংবাদিক ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবু কারাগারে আছেন। হত্যায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পৃথক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিগত সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের বারবার ব্যবহারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেন্সরশিপ বলেই মনে হচ্ছে।
এ ধরনের আইনি অভিযোগ ছাড়াও সিপিজে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা, রাজনৈতিক কর্মীদের কাছ থেকে হুমকি এবং নির্বাসনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত করছে। এই অভিযোগ সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সিপিজের আঞ্চলিক পরিচালক বেহ লিহ ই বলেন, ‘চারজন সাংবাদিককে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই এক বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত সংস্কার মানে অতীত থেকে বেরিয়ে আসা, এর অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি নয়। যেহেতু আগামী মাসগুলোতে দেশে নির্বাচন হতে চলেছে, তাই সব রাজনৈতিক দলকে সাংবাদিকদের খবর প্রকাশের অধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।’
আইনি নথি ও প্রতিবেদন নিয়ে সিপিজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার অনেক পর সাংবাদিকদের নাম প্রায়ই এতে যুক্ত করা হয়। মে মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, গত বছরের বিক্ষোভের পর ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শ্যামল দত্তের মেয়ে শশী সিপিজেকে বলেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এখন কতগুলো মামলা চলছে, পরিবার তার হিসাব রাখতে পারেনি। তাঁরা অন্তত ছয়টি হত্যা মামলার কথা জানেন, যেখানে শ্যামল দত্তের নাম আছে। মোজাম্মেল বাবুর পরিবার ১০টি মামলার কথা জানে। ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের পরিবার সিপিজেকে জানিয়েছে, তারা পাঁচটি মামলার এফআইআর পাননি, যেখানে একজন বা অন্য সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মানে হলো তাঁদের কেউই জামিনের আবেদন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও পুলিশের মুখপাত্র এনামুল হক সাগরকে ই–মেইল করে সিপিজে। তবে তাঁরা সাড়া দেননি বলে সিপিজের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়।