৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকার একাংশসহ ২২ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন।

এর আগে, গতকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতে শেষ হয় ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। মোনাজাত শেষে প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ মুসুল্লি ময়দান ত্যাগ করেন। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিকেল হতেই দ্বিতীয় ধাপের মুসুল্লিরা আসতে শুরু করেন। আজও সকাল হতে বিভিন্ন জেলা হতে মুসুল্লিরা দলবেঁধে ময়দানে আসছেন।

এই ধাপে অংশগ্রহণ করছেন- ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা, নরসিংদী, সাভার, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ, বান্দরবন জেলার মুসল্লিরা।

তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘‘সোমবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ধাপে ২২ জেলার মুসল্লি ছাড়াও ৭৬টি দেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার বিদেশি মেহমান এসেছেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত শেষে তারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।’’

উল্লেখ্য, ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম পর ব র দ ব ত

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ