ঢাকার ডেমরাতে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল উৎপাদন করছিল আল আকসা গুড ফুড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সোমবার বিএসটিআইর অভিযানে ধরা পড়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির মালপত্র জব্দ ও ধ্বংস করে এবং দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করেন বিএসটিআরের মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট। 
বিএসটিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল কোর্টের অভিযানে দেখা যায়, ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনে আল আকসা গুড ফুড বিএসটিআইর লাইসেন্স ছাড়া আফান ব্র্যান্ডের ফর্টিফায়েড সয়াবিন অয়েল ও ফর্টিফায়েড পাম অলিন পণ্য বোতলজাত করছে। প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে পণ্যের মোড়কে বিএসটিআইর মানচিহ্ন ও ভুয়া কিউআর কোড ব্যবহার করে বিক্রয়-বিতরণ ও বাজারজাত করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটিতে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস.

এম.ফেরদৌস আলম বলেন, এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র রমজান সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তারা এ ধরনের লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সজাগ রয়েছেন এবং প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। রমজান সামনে রেখে বিএসটিআইর মোবাইল কোর্ট ও সার্ভিল্যান্স টিম আরও বেশি সক্রিয়। নকল ও ভজাল থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি পণ্যের মোড়কে বিএসটিআইর দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করে তাদের লাইসেন্স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে পণ্য কেনার আহ্বান জানান।
গতকাল ওই মোবাইল কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন কানিজ ফাতেমা লিজা। প্রসিকিউটর হিসেবে বিএসটিআইর ফিল্ড অফিসার প্রকৌশলী এ এন এম ফরহাদ হোসেন দায়িত্ব পালন করেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু, চাঁদপুরের মাছঘাটে কর্মব্যস্ততা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের আদেশে জাটকা রক্ষা ও অন্যান্য মাছ বৃদ্ধিতে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন শিকার বন্ধের পর বুধবার মধ্যরাত থেকেই জেলেরা নদীতে শিকারে নেমেছে। কর্মব্যস্ততা ফিরেছে চাঁদপুরের মাছঘাটে। তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলেরা।

মাছ আহরণ কম হওয়ায় প্রথম দিনে আড়তে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১০ মণ ইলিশও আসেনি মাছের বড় ঘাট বড় স্টেশনে। তাছাড়া বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছেনি চাঁদপুর মাছ ঘাটে। নদী তীরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের কার্গো ও নৌকাও আসেনি। ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা কিছুটা শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পুরান বাজারের হরিসভা অঞ্চলের জেলে বাবুল, সেলিম, মনির হোসেন বলেন, ভোরে মাছ ধরতে নেমেছি। নদীতে তেমন মাছ নাই। ইলিশ না পেলেও পোয়া, পাঙাশ, চিংড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছ বিক্রির জন্য বড়স্টেশন মাছঘাটে এসেছি। তবে এই মাছে তেলের টাকাও উঠছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, আজকের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজারে। এক কেজির কম ওজনের ২ হাজার ৫০০ টাকায়। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

এদিকে শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানের খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে ইলিশই আনেননি। ‘কারণ’ হিসাবে কিরন নামে একজন ব্যবসায়ী বললেন, ‘তিন হাজার টাকার কেজিতে ইলিশ কে কিনবো বলেন? কয়জনে কিনবো? আমরা বেঁচমো কতো?’ 
 
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, এখন নদীতে পানি কম। স্রোত ও বৃষ্টিও কম। ফলে এ সময়ে ইলিশ কম পাওয়া যায়।

চাঁদপুরের ইলিশ ক্রেতা মোহন মাছঘাটে এসেছেন ইলিশ কিনতে। দাম শুনেই ফিরে গেলেন। তিনি সমকালকে বললেন, ‘আমাদের চাঁদপুরের মানুষের ইলিশ খাওয়া বড় কঠিন হয়ে পড়ছে। আজকেও যেমন আবার ভরা মৌসুমেও দেখবো দাম আর কমবে না!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ