ছেলের হত্যার বিচার না পেলে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মাহুতির হুমকি দিয়েছেন এক মা। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মাহুতির হুমকি দেন আছিয়া বেগম নামের এই মা।

সংবাদ সম্মেলনে আছিয়া বেগম জানান, ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরের রসুলবাগের বাসা থেকে তার ছেলে ইমরানকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। এরপর তার কাছে থাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে জোর করে দুই লাখ টাকা তুলে নেয়। পরে পরিকল্পিতভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিন বছরেও আমার সন্তানের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।'

২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আছিয়ার ২২ বছর বয়সী সন্তান মো.

ইমরানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইমরানের কয়েকজন বন্ধুকে আসামি করে মামলা করা হয় বাকলিয়া থানায়।

থানা পুলিশের পর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু আছিয়া বেগমের নারাজির কারণে মামলাটি পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় আদালত।

পিবিআইর কাছে মামলা যাওয়ার ১১ মাস পার হলেও তারা কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি বলে বলে অভিযোগ আছিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে আছিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এসআই আবু তালেবের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বিদেশফেরত এক ব্যক্তি। জেলায় মসলাজাতীয় ফসল চুইঝালের সফল বাণিজ্যিক চাষ এটিই প্রথম। এই সফলতায় বর্তমানে এলাকার কৃষক, তরুণ ও যুবকেরা চুইঝাল চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলীর বড় ছেলে। প্রায় এক যুগ সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে গ্রামে ফিরে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।

সম্প্রতি এক দুপুরে শাহ আলমের চুইঝালের খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে ফসল উত্তোলন করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে সমূলে চুইঝাল গাছগুলো তুলে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা গিয়ে এসব চুইঝাল কিনে নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশে থাকা অবস্থাতেই ইউটিউবে খুলনা এলাকায় চুইঝাল চাষে কৃষকদের সফলতা দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে খুলনা এলাকায় চুইঝালের চারা উৎপাদকারী একটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর দেশে ফিরে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় উচ্চমূল্যের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) সহায়তায় চুইঝালের চাষ শুরু করি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বাড়ির পাশে ৩৩ শতক জমি ৩ বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে এগুলোর চাষ শুরু করা হয়।’

শাহ আলমের দাবি, চুইঝাল চাষ শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে চলতি বছর দুই ধাপে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার চুইঝাল বিক্রি করেছেন।

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সফল হওয়ার দাবি করেছেন প্রবাসফেরত শাহ আলম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’