সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ৩ দিনের রিমান্ড
Published: 5th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মোহসীনের আদালতে এ মামলা ও রিমান্ডের শুনানি হয়।
এর আগে পুলিশ এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠায়। আদালতে শুনানি চলাকালে আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে তুমুল হট্টগোল সৃস্টি হয়। পরে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম জানান, সোনারগাঁ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশ এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করে।
এদিকে হত্যা মামলায় মাত্র ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করায় আদালতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপস্থিত আইনজীবীরা। পরে সেখানে পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন তারা। এ নিয়ে আদালতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এর প্রতিবাদ করা আইনজীবী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, একটি হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে, অন্তত ৫ দিনের মঞ্জুর হবে। কিন্তু এখানে পুলিশ সেটি করেনি। আইনজীবীরা এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস