ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে খুলনা, একাদশে কারা
Published: 5th, February 2025 GMT
শেষের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ফাইনালে যাওয়ার মহারণে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি খুলনা টাইগার্স-চিটাগং কিংস।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টস জিতে বোলিং নিয়েছে চিটাগং। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। যে দল জিতবে সঙ্গী হবে ফরচুন বরিশালের। ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রফির লড়াইয়ে বরিশালের মুখোমুখি হবে আজকের ম্যাচের জয়ী দল।
রাউন্ড রবিন লিগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং-খুলনা। প্রথম দেখায় খুলনা ৩৭ রানে এবং দ্বিতীয়বার চিটাগং ৪৫ রানে ম্যাচ জিতেছিল। ১-১ এ সমতা দুই দলের লড়াই। তৃতীয়বার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।
আরো পড়ুন:
চিটাগং ফাইনালে উঠলে বোলিং করতে পারবেন সানি?
বিপিএলে ফিক্সিং: বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের স্বাধীন কমিশন গঠন
২০১৩ সালের পর কখনোই ফাইনালে উঠতে পারেনি চিটাগং কিংস। সেবার রানার্সআপ হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচবার প্লে’অফ খেলে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রামের দল। শিরোপা তাদের জন্য কতটা আরাধ্য বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
খুলনার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি এ নিয়ে দশমবার বিপিএল আসরে খেলছে। এর আগে চারবার খুলনা প্লে’অফ খেলে একবার মাত্র ফাইনালে উঠতে পেরেছে। ২০২০ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহীর কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছে। এবার খুলনার জন্য সুযোগ আরেকবার ফাইনালে ওঠার।
খুলনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন জেসন হোল্ডার ও শিমরন হেটমায়ার। চিটাগং কিংস বড় কোনো তারকাকে দলে ভেড়ায়নি।
খুলনা টাইগার্স:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নাসুম আহমেদ, অ্যালেক্স রস, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মুশফিক হাসান, জেসন হোল্ডার ও শিমরন হেটমায়ার।
চিটাগং কিংস:
পারভেজ হোসেন ইমন, খাজা নাফে, মোহাম্মদ মিথুন, হোসেইন তালাত, শামীম হোসেন, গ্রহাম ক্লার্ক, বিনুরা ফার্নান্দো, আরাফাত সানি ও শরিফুল ইসলাম।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।