Prothomalo:
2025-06-16@02:17:51 GMT

১১ বছর পর মামলা চলার পথ খুলল

Published: 6th, February 2025 GMT

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক দশকের বেশি সময় আগে নির্যাতনে শাহনূর আলমের মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে র‍্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা চলার পথ খুলেছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

নিহতের ভাইয়ের করা এক আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো.

সগীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়রা জজ আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে নিহত শাহনূর আলমের ভাই মেহেদী হাসান ২০১৪ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল করিম।

রায়ের পর আশরাফ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালের ৪ জুন এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর দাখিল করা নালিশি অভিযোগ এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করে সিআইডিকে মামলা তদন্ত করতে আদেশ দেন। তবে অভিযোগ ওঠা এক র‍্যাব সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ সংশোধন করে ২০১৪ সালের ৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়রা জজ আদালত আদেশ দেন। এতে তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নিতে নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশের ফলে নালিশি অভিযোগ এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করে মামলা তদন্ত করতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া আদেশের কার্যক্রম থমকে যায়। দায়রা জজ আদালতের আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে নির্যাতনে শাহনূর আলমের মৃত্যুর অভিযোগ এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং ৯ র‍্যাব সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলবে। হাইকোর্টের রায়ের ফলে ঘটনার ১১ বছর পর মামলাটি চলার পথ খুলেছে।’

ঘটনার পূর্বাপর

র‌্যাব-১৪-এর তৎকালীন কোম্পানি কমান্ডারকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও সাত র‍্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি দরখাস্ত দেন নিহতের ভাই মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসানের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের গত ২৯ এপ্রিল সাদা পোশাক পরিহিত তিন ব্যক্তি বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর অজ্ঞাতনামা আরও ছয় ব্যক্তি সাদা পোশাকে ঘরে প্রবেশ করে। নয়জনই ব্যাগ থেকে র‍্যাবের পোশাক ও অস্ত্র বের করে পোশাক পড়ে শাহনুর আলমকে অস্ত্রের মুখে গ্রেপ্তার করে তাঁর চোখ ও মুখ বেঁধে নিয়ে যায়। শাহনুরকে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্প–১৪ এর অফিসে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পের তৎকালীন অধিনায়ক মেজর এ জেড এম শাকিব সিদ্দিক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। একপর্যায়ে শাহনূর অচেতন হয়ে পড়েন। পরদিন তাঁকে নবীনগর থানায় আনা হয়। আবু তাহেরকে (৩নং আসামি) থানায় ডেকে এনে তাঁকে এজহারকারী করে শাহনূরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় শাহনূরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০১৪ সালের ১ মে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ২০১৪ সালের ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ২০১৪ সালের ৬ মে তিনি মারা যান।

নথিপত্র থেকে জানা যায়, মেহেদী হাসানের দাখিল করা নালিশি আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৪ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নালিশি দরখাস্তটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড (লিপিবদ্ধ) করার জন্য নবীনগর থাকার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে মামলার তদন্তভার সিআইডির ওপর অর্পণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এই আদেশের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন অভিযোগ ওঠা একজন র‍্যাব সদস্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে ২০১৪ সালের ৮ জুন আদেশ দেন দায়রা আদালত। এতে অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

নথিপত্র থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দায়রা জজ আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহতের ভাই মেহেদী হাসান। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ সংশোধন করে দায়রা জজ আদালতের ২০১৪ সালের ৮ জুন দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড ২০১৪ স ল র য ব সদস য তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ‌্যান

২০২১ সালের পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলতে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গল ও কলম্বোতে হবে দুই দলের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যা দিয়ে দুই দলই আইসিসি টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ চক্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। যেহেতু টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপের ম‌্যাচ, দুই দলই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়বে বলাই যায়। মুখোমুখি লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে তাদের আগের পরিংস‌্যান কেমন ছিল সেগুলোতে চোখ দেয়া যাক— 

‘‘১৩’’
দুই দল এর আগে ১২টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে। এবারের সিরিজটি হতে যাচ্ছে ১৩তম। আগের ১২ সিরিজে বাংলাদেশ একটিতেও জিততে পারেনি। ড্র করেছে কেবল একটি। বাকি ১১টিতেই জয় শ্রীলঙ্কার। 

‘‘১’’
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত একবারই শ্রীলঙ্কাকে টেস্টে হারাতে পেরেছে। ২৬ মুখোমুখি লড়াইয়ে ২০টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ড্র হয়েছে ৫ ম‌্যাচ।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে টেস্ট দল ঘোষণা শ্রীলঙ্কার

বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

‘‘৭৩০/৬’’
বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা দুইবার সাতশর বেশি রান করেছে। দুটিই বাংলাদেশের মাটিতে। ২০১৪ সালে ৭৩০ রান করেছিল ৬ উইকেটে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে করেছিল ৭১৩ রান, ৯ উইকেটে। মুখোমুখি লড়াইয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। 

‘‘৬২’’
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বনিম্ন রান ৬২। বাংলাদেশ ২০০৭ সালে কলম্বোতে এই রানে অলআউট হয়েছিল। 

‘‘ইনিংস ও ২৪৮ রানে জয়’’
শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে আট ম‌্যাচে ইনিংস ব‌্যবধানে হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ইনিংস ও ২৪৮ রানে, ২০১৪ সালে মিরপুরে। রানের ব‌্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ৪৬৫ রানের। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে এই জয় পেয়েছিল লঙ্কানরা। 

‘‘১৮১৬’’
দুই দলের ব‌্যাটসম‌্যানদের মধ‌্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। ১৫ ম‌্যাচে ১৮১৬ রান করেছেন ৭টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে। 

‘‘৩১৯’’
সাঙ্গাকারা তার একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে। ৩১৯ রান করেছিলেন বাঁহাতি ব‌্যাটসম্যান। যা দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব‌্যক্তিগত রানের ইনিংস। 

‘‘৭’’
সর্বাধিক রান, সর্বোচ্চ রানের সঙ্গে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতেও সাঙ্গাকারা এগিয়ে। ৭ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। জয়াবর্ধনে ও চান্দিমালের রয়েছে ৫টি করে সেঞ্চুরি। 

‘‘০’’
ডাকের রেকর্ডে সবার ওপরে যৌথভাবে রয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবাল। দুজন ৪টি করে ডাক পেয়েছেন। 

‘‘৪৯৯’’
এক সিরিজে সর্বোচ্চ ব‌্যক্তিগত রানের ইনিংসটিও সাঙ্গাকারার দখলে। ২০১৪ সালের সফরে ২ ম‌্যাচে ৩ ইনিংসে ৪৯৯ রান করেছিলেন। 

‘‘৮৯’’ 
মুত্তিয়া মুরালিধরন বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ ম্যাচে ৮৯ উইকেট নিয়েছেন। যা দুই দলের ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ। 

‘‘৮৯/৭’’
রঙ্গনা হেরাথ দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ‌্যে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের কাছে রেখেছেন। ৮৯ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে। 

‘‘১২’’
হেরাথ ও মুরালিধরন ম‌্যাচে ১২টি করে উইকেট পেয়েছেন এক টেস্টে। ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে মুরালিধরণ ৮২ রানে ১২ উইকেট এবং ২০১৩ সালে হেরাথ ১৫৭ রানে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন। 

‘‘১১’’
সর্বোচ্চ ১১বার মুরালিধরন ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন। 

‘‘২১৯’’
তাইজুল ইসলাম ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ২১৯ রান দিয়েছিলেন ৬৭.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে। যা এক ইনিংসে সবচেয়ে ব‌্যয়বহুল বোলিং ফিগার।

‘‘২৬’’
এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট পেয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। ২০০৭ সালে ৩ ম‌্যাচের সিরিজে ২৬ উইকেট নিয়েছিলেন কিংবদন্তি অফস্পিনার।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ‌্যান