তুষারে হারাবে বলে থেমে যায় শরীরী তরঙ্গ
আকাশ-বৃষ্টির মতো নিঃসঙ্গ দেয়ালে লেগে থাকা
অবয়বহীন অপ্রতিরোধ্য প্রেমে, উষ্ণ কোনো মাসে,
শান্ত ও অদৃশ্য, হয়তো সে তরঙ্গে জোছনা নীলাভ
ছায়া, চারুশিল্পের পোর্ট্রেট ছুঁয়ে বন্দি হয়ে আছে!
আলোর বিভার মতো প্রপাতের খুব সংগোপনে
সোনালি সৌরভ, শরীর-কিন্নর গন্ধী জাগরণে;
উজ্জ্বল চাঁদের চাঁদোয়ায় ভেসে যেতে চায় জলে,
অথবা প্রেমের ছলসাগরে ডুবে যায় শামুকের
খোলের ভিতর, ঢেউ ভেঙে আসে আনন্দ-বিষাদ:
গোপন তিমিরে ইচ্ছেঘুড়ি; এখনও ঘুমিয়ে আছে,
আকাশের গালিচায় নিজের ছায়ার ঘূর্ণিপাকে
তোমাকে সহসা ছোঁয় অহেতুক মায়াময়রূপে
অন্ধ প্রজাপতি তবু ভ্রমে– ব্যক্তিগত আর্তনাদে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।