জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ নতুন ও পুরোনো সিলেবাসে পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু
Published: 8th, February 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৩ সালের বিবিএ (প্রফেশনাল) প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার নতুন ও পুরোনো সিলেবাসের পরীক্ষার ফরম পূরণ চলছে। গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া বিশেষ অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দিতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২০২৩ সালের বিবিএ (প্রফেশনাল) প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার নতুন ও পুরোনো সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণ ৫ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষার্থী অনলাইনে ফরম পূরণের পর প্রিন্ট করা আবেদন ফরম ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলেজে জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীর ডেটা ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিশ্চয়ন করবে। ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা জমা দেবে।
পরীক্ষায় যাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা নিয়মিত, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। ২০২২ সালে দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় সি ও ডি গ্রেডে উত্তীর্ণদের এবারই মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এফ গ্রেডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা বিশেষ অন্তর্ভুক্তি ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রশ্নের ধরন, নম্বর বিভাজন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদনের পদ্ধতি
আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে student login লিংকে ক্লিক করে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ও ওয়েবসাইটের নির্দেশনা অনুযায়ী ডেটা এন্ট্রি করতে হবে। ডেটা এন্ট্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অনলাইন থেকে একটি পূরণ করা আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিতে হবে। পূরণ করা ফরমটিতে পরীক্ষার্থীর বিষয় কোড ও ফি উল্লেখ থাকবে।
আরও পড়ুনসরকারি মেডিকেলে ভর্তির সময় বৃদ্ধি৫ ঘণ্টা আগেবিবরণী ফরম ও ফি জমা দেওয়ার নিয়মাবলি
২০২৩ সালের (প্রফেশনাল) প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার সব পরীক্ষার্থীর ফি ডিজাইন করা নির্ধারিত জমা ফরম বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ‘সোনালী সেবা’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খাতে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ www.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ র র পর ক ষ পর ক ষ য় ফরম প র
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্যকে ‘অতল গহ্বরে’ পতিত হওয়া রোধে ট্রাম্পের পরবর্তী
আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) বলেছে, “ইসরায়েল ও ইরান মধ্যেকার উন্মুক্ত যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করবে কিনা তা মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরবর্তী পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ট্রাম্পের প্রাথমিক বক্তব্যে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে পারমাণবিক আলোচনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু ইসরায়েলি হামলাকে এভাবে মূল্যয়ন করাটা ভুল।”
আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
মার্কিন সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করলে ইরানের পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে: যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলা এবং ইরানি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক হামলা বিশ্লেষণ করে আইসিজি এমন মন্তব্য করেছে।
আইসিজে বলছে, “এর পরিবর্তে, ট্রাম্পকে জরুরিভাবে ইসরায়েলের পক্ষে তার প্রচারণা জোরদার করা বন্ধ করতে হবে এবং ইরানকে পিছু হটার জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা দিতে হবে, না মানলে তেহরানকে কঠিন পরিণতি স্পষ্ট করে দিতে হবে।”
আইসিজি আরো বলেছে, “ট্রাম্পের উচিত নেতানিয়াহুর সরকারকে পরিস্থিতি আরো খারাপ করা বন্ধ করতে চাপ দেওয়া, যেমন দেশটিতে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার হুমকির মাধ্যমে। একই সঙ্গে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উচিত পারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় ইরানকে ‘যুক্তিসঙ্গত শর্তাবলীর একটি সেট’ অফার করা, যেমন দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
আইসিজির মতে, “এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য কঠিন কূটনীতির প্রয়োজন হবে এবং ট্রাম্পকে ওয়াশিংটনে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু বিপরীত দিকে অগ্রসর হওয়া, যেমনটি ট্রাম্প এখন করছেন তা পরিস্থিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।”
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) ব্রাসেলসভিত্তিক একটি অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধ ও সংঘাতের পাশাপাশি সম্ভাব্য সংকটগুলো নিয়ে পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে তারা। তাদের সেই পূর্বাভাস, প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণগুলো বিশ্বে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে নির্ভরযোগ্য বার্তা হিসেবে বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান বিবেচনা করে।
ঢাকা/ফিরোজ