৪০ বছর একসঙ্গে থেকেও কেউ পিঠে ছুরি মারতে পারে: সালমান
Published: 9th, February 2025 GMT
সিনেমা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সব সময় চর্চায় থাকেন সালমান খান। শোনা যায়, প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার কারণে নাকি একাধিকবার ভেঙেও পড়েন তিনি। তবে ভাঙা মন জুড়ে ফের কীভাবে স্বাভাবিক হতে হয় সেটাই জানালেন বলিউড ভাইজান।
ভাইপো আরহান খানের পডকাস্ট শো,তে গিয়ে পরামর্শ দিলেন, সম্পর্ক ভাঙলে ঠিক কী করতে হয়। সম্পর্ক ভেঙে গেলে, দুঃখ ভুলে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন সালমান।
সালমানের পরামর্শ, ‘প্রেমিকা যদি সম্পর্ক ভেঙে দেয়, তাকে চলে যেতে দাও। বিদায় জানাও। সম্পর্ক ভেঙে গেলে একটা ঘরে নিজেকে বন্ধ করে কান্নাকাটি করে নাও। তারপর এই অধ্যায়টা শেষ করে দাও। কান্নাকাটি হয়ে গেলে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলো।’
তবে সবকিছুর পরেও নিজের ভুল বুঝতে পারা ও স্বীকার করে নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন সালমান। তাঁর কথায়, “ভুল করলে সব সময় ক্ষমা চেয়ে নেবে। ‘ধন্যবাদ’ ও ‘দুঃখিত’ এই কথা দুটো যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে আসে। কাউকে অশ্রদ্ধা করার কোনও দরকার নেই। তবে যেখানে তোমাকে সম্মান করা হবে না, সেখানে যাবে না।”
সম্পর্ক নিয়ে সালমান আরও বলেন, ‘সম্পর্কে যাওয়া ভাল। হয়তো কারও সঙ্গে বহু সময় কাটিয়েছ। হতেই পারে, ৪০-৫০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়ার পরে বুঝতে পারলে তোমার পিছনে ছুরি মারা হচ্ছিল। কিন্তু বুঝতে পারার পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে যেন ৩০ সেকেন্ড সময়ও না লাগে। জীবন থেকে মুছে দাও সেই সম্পর্ক। প্রেম, বন্ধুত্ব যে সম্পর্কই হোক, বুঝে যাও সেটা শেষ।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।