তামিমের ধন্যবাদ, তামিমের দুঃখ প্রকাশ
Published: 9th, February 2025 GMT
বিপিএলে শিরোপা জেতার পরই ঘোষণাটা দিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার পর উদ্যাপনটা বরিশালে গিয়েই করতে চেয়েছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী, আজ দুপুরে ভাড়া করা বিমানে উড়ে বরিশালে যান ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। শহরের বেল পার্কে ট্রফি নিয়ে শিরোপা জয় উদ্যাপন করেছেন তাঁরা বরিশালবাসীকে নিয়েই।
যদিও অনুষ্ঠানটা পুরোপুরি ঠিকঠাক মতো হতে পারেনি। মানুষের ভিড়, বিশৃঙ্খলা আর হুড়োহুড়ির মধ্যে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে পারেননি তামিমরা। তবে বরিশালের মানুষের তাঁদের ঘিরে আগ্রহ দেখে আপ্লুত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। একই সঙ্গে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে ওই ঘটনা নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। আমরা এ কারণেই পুরো দল নিয়ে বরিশালে এসেছিলাম। আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে। আমরা কিছু কথা বলব, প্রত্যেক খেলোয়াড় কিছু না কিছু কথা বলবে আর আপনাদের সবার সঙ্গে সময় কাটাবে।’
ফরচুন বরিশালের টিম বাস ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস। আজ রোববার বিকেলে বরিশালের বেলস পার্কে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি উত্তীর্ণ হন।
আজ বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’ তিনি বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিল কিশোরী ফেলানী খাতুন। সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরমান হোসেনের (২১) এই নিয়োগ যেন দীর্ঘদিনের এক চাপা বেদনার মাঝে আশার দীপ্তি এনে দিয়েছে। পরিবারসহ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে যাওয়া বোন ফেলানী খাতুনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন আরমান হোসেন পূর্ণ করবেন।
এইচএসসি পাস আরফান হোসেন নিয়োগপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলের এই চাকরি তাঁর যোগ্যতায় হয়েছে, সবার দোয়াও ছিল। তাঁর ছেলে চাকরিজীবনে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। তাহলে তাঁর মেয়ে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের মরদেহ।