বিপিএলে শিরোপা জেতার পরই ঘোষণাটা দিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার পর উদ্‌যাপনটা বরিশালে গিয়েই করতে চেয়েছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী, আজ দুপুরে ভাড়া করা বিমানে উড়ে বরিশালে যান ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। শহরের বেল পার্কে ট্রফি নিয়ে শিরোপা জয় উদ্‌যাপন করেছেন তাঁরা বরিশালবাসীকে নিয়েই।

যদিও অনুষ্ঠানটা পুরোপুরি ঠিকঠাক মতো হতে পারেনি। মানুষের ভিড়, বিশৃঙ্খলা আর হুড়োহুড়ির মধ্যে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে পারেননি তামিমরা। তবে বরিশালের মানুষের তাঁদের ঘিরে আগ্রহ দেখে আপ্লুত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। একই সঙ্গে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে ওই ঘটনা নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। আমরা এ কারণেই পুরো দল নিয়ে বরিশালে এসেছিলাম। আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে। আমরা কিছু কথা বলব, প্রত্যেক খেলোয়াড় কিছু না কিছু কথা বলবে আর আপনাদের সবার সঙ্গে সময় কাটাবে।’

ফরচুন বরিশালের টিম বাস ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস। আজ রোববার বিকেলে বরিশালের বেলস পার্কে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ