বিপিএলে শিরোপা জেতার পরই ঘোষণাটা দিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার পর উদ্‌যাপনটা বরিশালে গিয়েই করতে চেয়েছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী, আজ দুপুরে ভাড়া করা বিমানে উড়ে বরিশালে যান ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। শহরের বেল পার্কে ট্রফি নিয়ে শিরোপা জয় উদ্‌যাপন করেছেন তাঁরা বরিশালবাসীকে নিয়েই।

যদিও অনুষ্ঠানটা পুরোপুরি ঠিকঠাক মতো হতে পারেনি। মানুষের ভিড়, বিশৃঙ্খলা আর হুড়োহুড়ির মধ্যে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে পারেননি তামিমরা। তবে বরিশালের মানুষের তাঁদের ঘিরে আগ্রহ দেখে আপ্লুত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। একই সঙ্গে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে ওই ঘটনা নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। আমরা এ কারণেই পুরো দল নিয়ে বরিশালে এসেছিলাম। আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে। আমরা কিছু কথা বলব, প্রত্যেক খেলোয়াড় কিছু না কিছু কথা বলবে আর আপনাদের সবার সঙ্গে সময় কাটাবে।’

ফরচুন বরিশালের টিম বাস ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস। আজ রোববার বিকেলে বরিশালের বেলস পার্কে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ