এসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ
Published: 10th, February 2025 GMT
মামলার তদন্তের সময় ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাইনউদ্দিন খান রোববার পুলিশের বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর রোববার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি অনুলিপি দিয়েছেন আইজিপির কমপ্লেন সেল ও ঝালকাঠির পুলিশ সুপারকে। যদিও এসআই শহিদুল দাবি করেছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা।
মাইনউদ্দিন খান উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ১৫ মে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা (পিটিশন মামলা নম্বর-৪৩/২০২৩) করেন দপদপিয়া ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো.
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই শহিদুল আলম আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আকনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এর আগেই তিনি মামলা থেকে মাইনউদ্দিন খানকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এতে রাজি না হলে মাইনউদ্দিনের মোবাইল ফোন (ডিভাইস) জব্দ ছাড়াই ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসরণ না করে মনগড়া প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ মে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জেলহাজতে পাঠানো হয় মাইনউদ্দিন খানকে। ১০ দিন পর ২৮ মে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মাইনউদ্দিন খানের অভিযোগ, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটে শহিদুল আলমের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন খানের নম্বরে কল আসে। রিসিভ করার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা মামলায় মাইনউদ্দিন খানকে আবারও জেল খাটানোসহ নানা হুমকি-ধমকি দেন।
মাইনউদ্দিন খান বলেন, এসআই শহিদুল আলম একই থানায় দীর্ঘদিন ধরে আছেন। এ কারণে ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। নিরীহ জনগণকে হয়রানি, হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিবার নিয়ে তিনি আতঙ্কিত।
এসআই শহিদুল আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার সবই মিথ্যা। আমি ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। মাইনউদ্দিন খানের ভাই গিয়াসকে কল করে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও সত্য নয়।’
লিখিত আকারে কোনো অভিযান না পেলেও বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম। তাঁর ভাষ্য, শহিদুল ইসলাম একজন ভালো কর্মকর্তা হিসেবেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। জেলার পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় সোমবার বিকেলে বলেন, তিনি এমন কোনো অভিযোগ হাতে পাননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//