অক্সফোর্ডের রিচ স্কলারশিপ, আবেদনের সুযোগ আছে আর ২দিন
Published: 11th, February 2025 GMT
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বৃত্তির নাম ‘রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপ-২০২৫’। উন্নয়নশীল দেশের যে যে শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক বা উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ-সুবিধার অভাবে নিজেদের দেশে অধ্যয়ন করতে পারছেন না, তারা এ স্কলারশিপে অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
সুযোগ সুবিধাসমূহ—
*কোর্সের মেয়াদ অনুযায়ী স্কলারশিপের মেয়াদ ৩–৪ বছর হয়ে থাকে;
*সম্পূর্ণ কোর্স ফি মওকুফ করা হবে;
*জীবনযাত্রার খরচ বাবদ মাসিক উপবৃত্তি মিলবে;
*প্রতিবছর বিমানে আসা-যাওয়ার জন্য একবার টিকিট মিলবে।
আবেদনের যোগ্যতা—
*অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির অফার পেতে হবে;
*অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করতে হবে;
*প্রার্থীকে পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতে হবে;
*যে আবেদনকারী কখনো স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করেননি অগ্রাধিকার পাবেন তিনি।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সময় কি ইন্টার্নশিপ প্রয়োজন, জেনে নিন কীভাবে পাবেন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫Md.Rashedul Alam Rasel
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’