গায়কের ব্যক্তিগত প্লেন দুর্ঘটনায় আহত প্রেমিকা, নিহত ১
Published: 11th, February 2025 GMT
আমেরিকান হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘মোটলি ক্রু’র প্রধান গায়ক ভিন্স নিলের ব্যক্তিগত প্লেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অ্যারিজোনার স্কটসডেলে এটি ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন নিলের প্রেমিকা রেইন হান্নাসহ বেশ কয়েকজন। দ্য হলিউড রিপোর্টারের বরাতে জানা যায়, তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে এক্স অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে, ‘সোমবার দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে ভিন্স নিলের মালিকানাধীন লিয়ারজেট মডেল ৩৫-এ স্কটসডেল বিমানবন্দরে অবতরণ করার চেষ্টা করছিল। তবে অজানা কারণে, প্লেনটি রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে একটি পার্ক করা প্লেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভিন্স নিলের প্লেনে দুজন পাইলট এবং দুজন যাত্রী ছিলেন। ভিন্স নিজে প্লেনে ছিলেন না। প্লেনটি দুর্ঘটনার পর ভিন্সের প্রেমিকা রেইনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’
স্কটসডেল বিমানবন্দরের একজন প্রতিনিধি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে জানান যে, পার্ক করা প্লেনটি ছিল একটি গালফস্ট্রিম ২০০ জেট। লিয়ারজেটের ল্যান্ডিং গিয়ার হয়তো ফেল করেছিল, যা দুর্ঘটনাটির কারণ হতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।
গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।