রাবিতে আওয়ামী আমলের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি
Published: 11th, February 2025 GMT
আওয়ামী আমলের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলন’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রায় অর্ধযুগ পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল কাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে এ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগঠক রাবেয়া মুহিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাশেদ রাজন বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল, আগের বিজ্ঞপ্তিতে আর কোন শিক্ষক নিয়োগ হবে না। কিন্তু কাল পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের যে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেটা কার্যকর হলে বিজয় পরাজিত হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ের বিজ্ঞপ্তি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না।”
তিনি বলেন, “বিগত বিজ্ঞপ্তিতে যারা যোগ্য, মেধাবী, পিএইচডিধারী, তারা কেউই আবেদন করেননি। কারণ তারা জানতেন, এ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সেই বিজ্ঞপ্তিতেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক নিতে যাচ্ছে। অবিলম্বে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করতে হবে।”
রাবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, “বিগত সময়ে অর্থনৈতিক লেনদেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ এমন কোন অনিয়ম নেই, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ঘটায়নি। আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন ফ্যাসিবাদের দোসরদের আবার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসন আগের ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের দেখানো পথেই হাঁটছে। অনতিবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে আবার বিজ্ঞপ্তি ও নীতিমালা সংস্কার করে যোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।”
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে দলীয় প্রশাসনে পরিণত হয়েছিল। দলীয়করণের প্রধান কারণ ছিল অনিয়মতান্ত্রিক দলীয় নিয়োগপ্রক্রিয়া। ফ্যাসিস্ট আমলের সেই নিয়ম ভেঙে নতুন বাংলাদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।