সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩৯ পয়সা।

এছাড়া, ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৪০ পয়সা।

এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ মার্চ।

 

এসকেএস

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

নৃত্যাঞ্চল পদক পেলেন কুমকুম রানী

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৯ এপ্রিল সংগঠনটির কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উদযাপন করেছে দেশের স্বনামধণ্য নৃত্য সংগঠন ‘নৃত্যাঞ্চল’। অনুষ্ঠানটি তিনটি পর্বে সাজানো হয়েছিল। প্রথম পর্বে ছিল নৃত্যাঞ্চল আয়োজিত আন্তঃ ক্লাস প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পুরস্কার লাভ করেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল নৃত্যাঞ্চলের প্রাণপুরুষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে ‘নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪’ প্রদান। নৃত্যাঞ্চল প্রতি দু’বছর অন্তর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নীরবে নিভৃতে দেশীয় সংস্কৃতি নিয়ে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি সম্মান জানাতে ‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ প্রদান করে আসছে। 

এ বছর এ পদকে ভূষিত হয়েছেন ধামাইল নাচের সাধক শ্রীমতি কুমকুম রানী চন্দ। পদক প্রদান করেন নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বরেণ্য নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক শামীম আরা নীপা ও শিবলী মোহাম্মদ।  নৃত্য শিল্পীদ্বয় বলেন, ‘নৃত্যাঞ্চলের প্রাণপুরুষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর সব সময় চেয়েছেন নৃত্যাঞ্চল দেশীয় নিজস্ব মৌলিক নৃত্য ধারাগুলোকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নৃত্যাঞ্চল শ্রীমতি কুমকুম রানী চন্দ -এর মতো গুণী শিল্পীকে পদক দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছে।’ আয়োজনের তৃতীয় পর্বে ছিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে নৃত্যানুষ্ঠান। এতে দুই শতাধিক নৃত্যশিল্পী অংশগ্রহণ করেন। সবশেষে ঢাকের তালে নাচে গানে দর্শক এবং শিল্পীরা মিলিতভাবে উদযাপন করে নৃত্য দিবস। 

বলা দরকার, কুমকুম রানী চন্দ বৈষ্ণব কবি রাধারমণের গানে নিমগ্ন এই ধামাইল শিল্পী ১৯৫২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার বেরিগাঁও গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে মায়ের সাথে বিয়ের অধিবাসে যেতেন, অধিবাসের গান শুনে বাড়ি এসে গুনগুনয়ে গাইতেন। এভাবে তার মাঝে ক্রমেই ধামাইলের প্রতি সৃষ্টি হয় গভীর প্রীতি, তৈরি হয় এক দুর্নিবার আগ্রহ। কালের পরিক্রমাই নিজেই নিজেকে একজন ধামাইল শিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী ছিলেন একজন উঁচু মানের কীর্তন শিল্পী। বলা যায় স্বামীর পারিবারিক সংগীতচর্চার পরিবেশই তাকে ধামাইল শিল্প বিকাশের পথকে আরও সুগম করে দেয়। ধামাইল একটি বিস্তীর্ণ সংগীত ভাণ্ডার। যেখানে অনেকগুলো সংগীতের প্রকাশ রয়েছে। যা আনুষ্ঠানিক দিক বিবেচনা করে উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্দনা, আসর, বাঁশি, জলভরা, জলধামাইল, গৌররূপ, শ্যামরূপ, বিচ্ছেদ, কুঞ্জসজ্জা, কুঞ্জবিচ্ছেদ, খেদবিচ্ছেদ, মান, মানভঞ্জন, সাক্ষাৎ (দুঃখ প্রকাশ), মিলন ও বিদায়।

এছাড়াও আছে ঢোল আসার গান, জামাই ও কনের মা সাজানো গান, কুলা সাজানো গান, আলপনা আঁকার গান, সম্বন্ধ মিথি, অধিবাসের টিকা দেয়ার গান, চুরপানি গান, জলে প্রদীপ ভাসানোর গান। সব গানের পদগুলো রাধারমণ-এর ধামাইল পদ। এছাড়াও ধামাইলে রয়েছে কারিকা ধামাইল, বাঁশি কারিকা, বিচ্ছেদ কারিকা ও জলভরা কারিকা।  এসব পদগুলো সম্পর্কে কুমকুম রানীর রয়েছে বিষদ সাধনা। তার কাছে প্রায় ৭০০ রাধারমণের ধামাইল শিল্পের সংগ্রহ রয়েছে। গুণী এই শিল্পীর কাছ থেকে এদেশের অনেক শিল্পীই লোক-শিল্প ধামাইল সংগ্রহ করতে আসেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ