আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন
Published: 12th, February 2025 GMT
দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধশিল্প পার্ক গড়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরে গ্যাসের বিতরণ লাইন স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। তবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে গেছে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন।
বুধবার রাজধানীর পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিনদিন ব্যাপী ‘১৬তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’-২০২৫ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি মো.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার, জাতীয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আব্দুল মুক্তাদির বলেন, স্থানীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে শিল্প পার্ক করার উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় গ্যাস মিলছে না। এতে কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ার পর পেটেন্ট আইনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে দেশের ওষুধশিল্প।
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বর্তমানে বাজারে কোম্পানি অনুযায়ী একই ওষুধের মূল্য পার্থক্য ৩-৫ গুণ রয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায়, এমন অনেক ওষুধের দাম বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এগুলো সমাধান করা উচিত।
ইরেবা ক্যাপসুল লিমিটেড এর পরিচালক ইমতিয়াজ করিম বলেন, কাঁচামাল আমদানি নির্ভরতার কারণে দফায় দফায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম বেড়েছে। যদি ওষুধের কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা যেতো তাহলে আরও কম দামে ওষুধ দেওয়া সম্ভব হতো।
সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, দেশীয়ভাবে কাঁচামাল উৎপাদনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ওষুধলিল্প পার্কে দ্রুত গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।