দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধশিল্প পার্ক গড়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরে গ্যাসের বিতরণ লাইন স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। তবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে গেছে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন।

বুধবার রাজধানীর পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিনদিন ব্যাপী ‘১৬তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’-২০২৫ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি মো.

আব্দুল মুক্তাদির। এতে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, জাপান, বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশের ৮০০টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই এক্সপো। তিন দিনের মেলা শেষ হচ্ছে শুক্রবার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার, জাতীয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আব্দুল মুক্তাদির বলেন, স্থানীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে শিল্প পার্ক করার উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় গ্যাস মিলছে না। এতে কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ার পর পেটেন্ট আইনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে দেশের ওষুধশিল্প। 

বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বর্তমানে বাজারে কোম্পানি অনুযায়ী একই ওষুধের মূল্য পার্থক্য ৩-৫ গুণ রয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায়, এমন অনেক ওষুধের দাম বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এগুলো সমাধান করা উচিত।

ইরেবা ক্যাপসুল লিমিটেড এর পরিচালক ইমতিয়াজ করিম বলেন, কাঁচামাল আমদানি নির্ভরতার কারণে দফায় দফায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম বেড়েছে। যদি ওষুধের কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা যেতো তাহলে আরও কম দামে ওষুধ দেওয়া সম্ভব হতো।

সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, দেশীয়ভাবে কাঁচামাল উৎপাদনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ওষুধলিল্প পার্কে দ্রুত গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ