চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
Published: 14th, February 2025 GMT
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা ছাত্রদল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক কাউছার আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানো নোটিশে আফজালুর রহমানকে বলা হয়েছে, আপনি দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের মতো দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকায় আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে আগামী তিন দিনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ছাত্রদল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি শাহাজান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা বলেন, এই নেতা দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে যেসব কর্মকাণ্ড করছেন, তা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এ জন্য কারণ দর্শানো হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাস্তানি, মানুষকে জিম্মি করে হয়রানিসহ নানা ঘটনায় অভিযুক্ত গাজী জাহিদ হাসান দলের কেউ নয় বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জীবননগর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নূর ইসলামের ছেলে গাজী জাহিদ হাসান বিএনপি-অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বর্তমানে কোনো পর্যায়ের কোনো দায়িত্বে নেই। তার সঙ্গে বিএনপি-অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। তার কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডের দায় দল বহন করবে না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে গাজী জাহিদ হাসান নিজেকে কখনো বিএনপি, আবার কখনো যুবদলের নেতা পরিচয়ে জীবননগর পৌর এলাকায় মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি জীবননগর শহরের মোটর পার্টস ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম করিম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শ্যামলী পারভীনের বিয়ে অবৈধ দাবি করে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সাইফুল টাকা দিতে অস্বীকার করায় গাজী জাহিদের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা এই দম্পতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে যান। আলোচিত বিষয়টি জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব অবগত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘোষণা দেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে
ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।