Prothomalo:
2025-05-01@05:11:40 GMT

এক টিকিটে ১৪ নাটক

Published: 15th, February 2025 GMT

করোনা মহামারির পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি বলে মনে করছেন মঞ্চনাটকের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, বিগত দুই বছরে বেশ কিছু নতুন নাটক মঞ্চে এলেও দর্শকসংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং ক্রমেই দর্শকসংকট দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে থিয়েটার চর্চায় গতিশীলতা আনতে, নাট্যদলগুলো ও নাট্যকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এবং দর্শকদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে থিয়েটার চর্চারত নাট্যদলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদ’। তাদের উদ্যোগে ৮৫টি নাট্যদলের নাটক নিয়ে রাজধানীর ৫টি মিলনায়তনে শুরু হতে যাচ্ছে নাট্যোৎসব।

‘শিল্পের আলোয় ভরে উঠুক মঞ্চের আঙিনা, দর্শকই স্বজন, দর্শকই প্রেরণা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ শনিবার থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাট্যোৎসবের অনুষ্ঠিত হবে নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে। আজ বিকেল পাঁচটায় মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করবেন শতাধিক দর্শক ও মঞ্চের অভিনয়শিল্পী।
এই উৎসব হবে তিনটি পর্যায়ে, যার প্রথম পর্যায় শনিবার শুরু হচ্ছে। এই উৎসবে এক টিকিটে ১৪টি নাটক দেখার সুযোগ পাবেন দর্শক। টানা ১৪ দিনে ১৪টি নাটক উপভোগ করতে পারবে একই টিকিটে। টিকিটের মূল্য এক হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিদিনের টিকিটও পাওয়া যাবে ৫০০, ৩০০ ও ২০০ টাকায়।

ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের সদস্যসচিব কামাল আহমেদ জানান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এই উৎসব হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং জহির রায়হান মিলনায়তনে। পরবর্তী সময়ে মঞ্চনাটক করা যাবে—এমন স্থান পেলে সেখানেও এই উৎসব বর্ধিত করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুননতুন বছরে শিল্পকলা একাডেমির ‘তারুণ্যের উৎসব’৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্ষদের আহ্বায়ক ঠাণ্ডু রায়হানের ভাষ্যে, ‘মহামারির পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি। গত দুই বছরে বেশ কিছু নতুন নাটক মঞ্চে এলেও দর্শকসংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং ক্রমেই দর্শকসংকট বেড়ে চলেছে।’ এই উৎসব মঞ্চনাটকের দর্শক বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।

থাকছে যেসব নাটক
উৎসবের প্রথম দিন আজ রয়েছে থিয়েটারের নাটকÑ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। রোববার লোক নাট্যদল, বনানী মঞ্চস্থ করবেÑ‘কঞ্জুস’। ১৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটকÑবলয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি পুণ্যাহ মঞ্চস্থ করবে নাট্যকেন্দ্র। ১৯ ফেব্রুয়ারি রয়েছে অনুস্বরের ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’। ২০ ফেব্রুয়ারি থাকছে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ঘরজামাই। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাচ্যনাটের কিনু কাহারের ‘থেটার’, ২২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে ঢাকা থিয়েটারের ‘একটি লৌকিক’ অথবা ‘অলৌকিক স্টিমার’। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হবে শৌখিন থিয়েটারের ‘অন্তরালের আয়না’। ২৪ ফেব্রুয়ারি মঞ্চস্থ হবে নাট্যপালার ‘বাঘ’। ২৫ ফেব্রুয়ারি আরণ্যক নাট্যদলের ‘ময়ূর সিংহাসন’, ২৬ ফেব্রুয়ারি আগন্তুকের ‘অন্ধকারে মিথেন’ মঞ্চস্থ হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যাবে পদাতিক নাট্যসংসদ টিএসসির ‘গুণজান বিবির পালা’। ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবের শেষ দিনে ‘শেষের কবিতা’ মঞ্চস্থ করবে প্রাঙ্গণেমোর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল মানেই তো উত্তেজনার চূড়ান্ত রূপ। আর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাতালোনিয়ার মন্টজুইকে যা দেখা গেল— তা যেন শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, বরং ছয় গোলের অনির্দেশ্য গল্প। যেখানে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে একসঙ্গে রচনা করল রোমাঞ্চ আর বীরত্বের এক অপূর্ব মহাকাব্য। দুইবার পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ৩-৩ গোলে সমতা টানল কাতালান জায়ান্টরা।

ম্যাচ শুরুই হলো যেন বজ্রপাত দিয়ে। সময়ের কাঁটায় মিনিটও পেরোয়নি। এর মধ্যেই ইন্টারের মার্কুস তুরাম এক চতুর ব্যাকহিল ফিনিশে বল ঠেলে দেন জালে। সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো কাতালান রক্ষণভাগ। এরপর ২১ মিনিটে কর্নার থেকে ডেনজেল ডামফ্রিসের অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে যেন বার্সার হৃদয়েই ঘা লাগে, ইন্টারের লিড তখন ২-০ গোলে।

তবে ইতিহাস বলে—  বার্সেলোনার যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনই তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই ধারাতেই, ডানদিক থেকে দুরন্ত ছন্দে এগিয়ে এসে বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠালেন কিশোর বিস্ময় লামিনে ইয়ামাল। ইন্টারের দ্বিতীয় গোলের মাত্র তিন মিনিট পর আসে এই গোল, যা এই ম্যাচে বার্সার ফেরার না বলা প্রতিশ্রুতি হয়ে উঠেছিল।

সেই ইয়ামাল পরে আরও একবার প্রায় গোল করে ফেলছিলেন। কিন্তু ভাগ্য মুখ ফিরিয়ে নেয়। বল লাগে পোস্টে। তবে কাতালান আশা তখনও নষ্ট হয়নি। ৩৮ মিনিটে ফেরান তোরেস ডানদিক থেকে আসা পাসে ওয়ান-টাইম ফিনিশে বল জড়ান জালে, ফিরিয়ে আনেন সমতা। ম্যাচ তখন যেন টানটান থ্রিলারে রূপ নেয় এবং শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখলে ও খেলার ছন্দে এগিয়ে থাকলেও ৬৪ মিনিটে আবারও হোঁচট খায় বার্সা। কর্নার থেকে হেডে ডামফ্রিস করেন তার দ্বিতীয় গোল। ইন্টার আবারও এগিয়ে যায়। কিন্তু বার্সা মানেই তো ক্ষণিকের বিশ্রামে আবার অগ্নি হয়ে ওঠা। দ্রুতই আসে জবাব। রাফিনহার দূরপাল্লার গর্জে ওঠা শট প্রথমে লাগে পোস্টে, এরপর ফিরে এসে লেগে যায় গোলরক্ষক ইয়ান সমারের পিঠে, এরপর বল ঢুকে পড়ে জালে। ম্যাচ আবারও ৩-৩। যদিও এটি আত্মঘাতী গোল হিসেবে গণ্য হয়, কাতালানদের জন্য তা যেন নবজন্মের এক চুম্বন।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত দুই দলই তীব্রভাবে চেষ্টা করেছে জয় ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু ভাগ্য সেদিন ছিল ভারসাম্যপন্থী।

এখন সব অপেক্ষা দ্বিতীয় লেগের। আগামী ৬ মে মিলানের ঐতিহাসিক সান সিরো স্টেডিয়ামে লেখা হবে এই নাটকের অন্তিম অঙ্ক। এক ম্যাচ, এক ফলাফল, এক জয়ী— আর সেই জয়ীর জন্য অপেক্ষা করছে মিউনিখের আলো-আড়ম্বরের রাত। ইউরোপীয় ফুটবলের মঞ্চে চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন।

সান সিরোর আকাশে হয়তো আবার জ্বলে উঠবে এক নতুন রূপকথার তারা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • এবার লন্ডনে পুরস্কার জিতল ‘প্রিয় মালতি’
  • আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট