Prothomalo:
2025-11-03@01:48:56 GMT

এক টিকিটে ১৪ নাটক

Published: 15th, February 2025 GMT

করোনা মহামারির পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি বলে মনে করছেন মঞ্চনাটকের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, বিগত দুই বছরে বেশ কিছু নতুন নাটক মঞ্চে এলেও দর্শকসংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং ক্রমেই দর্শকসংকট দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে থিয়েটার চর্চায় গতিশীলতা আনতে, নাট্যদলগুলো ও নাট্যকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এবং দর্শকদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে থিয়েটার চর্চারত নাট্যদলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদ’। তাদের উদ্যোগে ৮৫টি নাট্যদলের নাটক নিয়ে রাজধানীর ৫টি মিলনায়তনে শুরু হতে যাচ্ছে নাট্যোৎসব।

‘শিল্পের আলোয় ভরে উঠুক মঞ্চের আঙিনা, দর্শকই স্বজন, দর্শকই প্রেরণা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ শনিবার থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাট্যোৎসবের অনুষ্ঠিত হবে নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে। আজ বিকেল পাঁচটায় মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করবেন শতাধিক দর্শক ও মঞ্চের অভিনয়শিল্পী।
এই উৎসব হবে তিনটি পর্যায়ে, যার প্রথম পর্যায় শনিবার শুরু হচ্ছে। এই উৎসবে এক টিকিটে ১৪টি নাটক দেখার সুযোগ পাবেন দর্শক। টানা ১৪ দিনে ১৪টি নাটক উপভোগ করতে পারবে একই টিকিটে। টিকিটের মূল্য এক হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিদিনের টিকিটও পাওয়া যাবে ৫০০, ৩০০ ও ২০০ টাকায়।

ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের সদস্যসচিব কামাল আহমেদ জানান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এই উৎসব হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং জহির রায়হান মিলনায়তনে। পরবর্তী সময়ে মঞ্চনাটক করা যাবে—এমন স্থান পেলে সেখানেও এই উৎসব বর্ধিত করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুননতুন বছরে শিল্পকলা একাডেমির ‘তারুণ্যের উৎসব’৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্ষদের আহ্বায়ক ঠাণ্ডু রায়হানের ভাষ্যে, ‘মহামারির পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি। গত দুই বছরে বেশ কিছু নতুন নাটক মঞ্চে এলেও দর্শকসংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং ক্রমেই দর্শকসংকট বেড়ে চলেছে।’ এই উৎসব মঞ্চনাটকের দর্শক বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।

থাকছে যেসব নাটক
উৎসবের প্রথম দিন আজ রয়েছে থিয়েটারের নাটকÑ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। রোববার লোক নাট্যদল, বনানী মঞ্চস্থ করবেÑ‘কঞ্জুস’। ১৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটকÑবলয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি পুণ্যাহ মঞ্চস্থ করবে নাট্যকেন্দ্র। ১৯ ফেব্রুয়ারি রয়েছে অনুস্বরের ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’। ২০ ফেব্রুয়ারি থাকছে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ঘরজামাই। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাচ্যনাটের কিনু কাহারের ‘থেটার’, ২২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে ঢাকা থিয়েটারের ‘একটি লৌকিক’ অথবা ‘অলৌকিক স্টিমার’। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হবে শৌখিন থিয়েটারের ‘অন্তরালের আয়না’। ২৪ ফেব্রুয়ারি মঞ্চস্থ হবে নাট্যপালার ‘বাঘ’। ২৫ ফেব্রুয়ারি আরণ্যক নাট্যদলের ‘ময়ূর সিংহাসন’, ২৬ ফেব্রুয়ারি আগন্তুকের ‘অন্ধকারে মিথেন’ মঞ্চস্থ হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যাবে পদাতিক নাট্যসংসদ টিএসসির ‘গুণজান বিবির পালা’। ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবের শেষ দিনে ‘শেষের কবিতা’ মঞ্চস্থ করবে প্রাঙ্গণেমোর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 

পাহাড়ের আঁকাবাঁকা প্রায় দুই কিলোমিটারেরও বেশি উঁচুনিচু ঢালু পথ পাড়ি দিয়ে আলোক শোভাযাত্রা করে করলেন হাজারো খৃষ্ট ভক্ত। মা মারিয়ার আশীর্বাদপ্রাপ্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘বারোমারি সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লি’ তে ছিলো এ বছরের আয়োজন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয় ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব। দুই দিনব্যাপী এই তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার জীবন্ত ক্রুশের পথ ও পবিত্র মহাখ্রিষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে। 

এ উৎসবে শুধু ক্যাথলিক খ্রিষ্টানই নন, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও প্রতিবছর অংশ নেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র‌্যান্ডেল। 

এসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজক কমিটি জানায়, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারে এই তীর্থযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রধান পৌরহিত্যকারী ন্যুনসিওকে বরণ, তীর্থের জুবিলী উদজাপন, পুর্নমিলন সংস্কার, পবিত্র খিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থন, আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। শুক্রবার সকাল আটটায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম এবং সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের তীর্থোৎসব। 

১৯৪২ সালে ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লি। ১৯৯৮ সালে প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গোমেজ স্থানটিকে ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে এই ধর্মীয় উৎসব। এ বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রী অংশ নিয়েছেন উৎসবে। সার্বিকভাবে উৎসব এলাকা ছিল আলো, প্রার্থনা ও শান্তির আবহে মোড়ানো।

রংপুর থেকে আসা তীর্থযাত্রী রিপন আরেং বলেন, “সবাই যখন মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রার্থনা করতে করতে পাহাড়ি আকাঁবাঁকা পথ অতিক্রম করছিলেন, তখন পাহাড় আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল। তীর্থে আমরা মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করতে এসেছি।”

চট্টগ্রাম থেকে আসা রীতা নকরেক বলেন, “পুত্রবধূর সন্তান হচ্ছিল না। গতবার মানত করার পর এবার নাতী পেয়েছি। তাই এবার নাতীকে নিয়ে আবার এসেছি।”

গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে আসা শিক্ষার্থী ঝর্ণা আরেং বলেন, “মারিয়ার কাছে এলে মনে একধরনের শান্তি পাই। আমরা প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।”

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই তীর্থযাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকি মুক্ত রাখতে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেখেছি। পাঁচ শতাধিক পুলিশ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। যে কোন ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।”

শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “উৎসবটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনায়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে সহযোগীতা করে আসছে। এবারের তীর্থযাত্রায় সারাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের উৎসব পালন করেছে।”

ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি বলেন, “এ উৎসবের মাধ্যমে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়েছে। ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ তীর্থে দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছেন। তাঁরা দুই দিনব্যাপী তীর্থে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। মা ফাতেমা রানীর কাছে দেশ ও মানবজাতির কল্যাণে প্রার্থনা শেষে যার যার বাড়ি ফিরে যাবেন।”

ঢাকা/তারিকুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক
  • বিজ্ঞান উৎসব উদ্বোধন করল রোবট নাও
  • ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবে’ আলোয় ভাসল গারো পাহাড়