Prothomalo:
2025-06-15@23:03:24 GMT

এক টিকিটে ১৪ নাটক

Published: 15th, February 2025 GMT

করোনা মহামারির পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি বলে মনে করছেন মঞ্চনাটকের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, বিগত দুই বছরে বেশ কিছু নতুন নাটক মঞ্চে এলেও দর্শকসংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং ক্রমেই দর্শকসংকট দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে থিয়েটার চর্চায় গতিশীলতা আনতে, নাট্যদলগুলো ও নাট্যকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এবং দর্শকদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে থিয়েটার চর্চারত নাট্যদলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদ’। তাদের উদ্যোগে ৮৫টি নাট্যদলের নাটক নিয়ে রাজধানীর ৫টি মিলনায়তনে শুরু হতে যাচ্ছে নাট্যোৎসব।

‘শিল্পের আলোয় ভরে উঠুক মঞ্চের আঙিনা, দর্শকই স্বজন, দর্শকই প্রেরণা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ শনিবার থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাট্যোৎসবের অনুষ্ঠিত হবে নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে। আজ বিকেল পাঁচটায় মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করবেন শতাধিক দর্শক ও মঞ্চের অভিনয়শিল্পী।
এই উৎসব হবে তিনটি পর্যায়ে, যার প্রথম পর্যায় শনিবার শুরু হচ্ছে। এই উৎসবে এক টিকিটে ১৪টি নাটক দেখার সুযোগ পাবেন দর্শক। টানা ১৪ দিনে ১৪টি নাটক উপভোগ করতে পারবে একই টিকিটে। টিকিটের মূল্য এক হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিদিনের টিকিটও পাওয়া যাবে ৫০০, ৩০০ ও ২০০ টাকায়।

ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের সদস্যসচিব কামাল আহমেদ জানান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এই উৎসব হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং জহির রায়হান মিলনায়তনে। পরবর্তী সময়ে মঞ্চনাটক করা যাবে—এমন স্থান পেলে সেখানেও এই উৎসব বর্ধিত করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুননতুন বছরে শিল্পকলা একাডেমির ‘তারুণ্যের উৎসব’৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্ষদের আহ্বায়ক ঠাণ্ডু রায়হানের ভাষ্যে, ‘মহামারির পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি। গত দুই বছরে বেশ কিছু নতুন নাটক মঞ্চে এলেও দর্শকসংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং ক্রমেই দর্শকসংকট বেড়ে চলেছে।’ এই উৎসব মঞ্চনাটকের দর্শক বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।

থাকছে যেসব নাটক
উৎসবের প্রথম দিন আজ রয়েছে থিয়েটারের নাটকÑ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। রোববার লোক নাট্যদল, বনানী মঞ্চস্থ করবেÑ‘কঞ্জুস’। ১৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটকÑবলয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি পুণ্যাহ মঞ্চস্থ করবে নাট্যকেন্দ্র। ১৯ ফেব্রুয়ারি রয়েছে অনুস্বরের ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’। ২০ ফেব্রুয়ারি থাকছে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ঘরজামাই। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাচ্যনাটের কিনু কাহারের ‘থেটার’, ২২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে ঢাকা থিয়েটারের ‘একটি লৌকিক’ অথবা ‘অলৌকিক স্টিমার’। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হবে শৌখিন থিয়েটারের ‘অন্তরালের আয়না’। ২৪ ফেব্রুয়ারি মঞ্চস্থ হবে নাট্যপালার ‘বাঘ’। ২৫ ফেব্রুয়ারি আরণ্যক নাট্যদলের ‘ময়ূর সিংহাসন’, ২৬ ফেব্রুয়ারি আগন্তুকের ‘অন্ধকারে মিথেন’ মঞ্চস্থ হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যাবে পদাতিক নাট্যসংসদ টিএসসির ‘গুণজান বিবির পালা’। ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবের শেষ দিনে ‘শেষের কবিতা’ মঞ্চস্থ করবে প্রাঙ্গণেমোর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।

মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।

সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।

প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।

আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।

মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার