Prothomalo:
2025-10-07@09:49:14 GMT

তরুণেরা কোথায় বিনিয়োগ করবেন

Published: 16th, February 2025 GMT

বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গেলে ওয়ারেন বাফেটের কথা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে। মার্কিন এই ব্যবসায়ীকে বলা হয় ‘বিনিয়োগ-গুরু’। তিনি তাঁর জীবনে প্রথম বিনিয়োগ করেছিলেন ১১ বছর বয়সে। এরপর তাঁর পরবর্তী জীবনের সাফল্যের কথা আমরা সবাই কমবেশি জানি।

কিন্তু এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এত কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করার পরও তিনি এক সাক্ষাৎকারে একবার বলেছিলেন, তাঁর আরও আগে থেকেই বিনিয়োগে মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল।

ওয়ারেন বাফেটের উদাহরণ দিয়ে এ রকম বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে উৎসাহিত করছি না। বরং বলতে চাইছি, তরুণ বয়স থেকেই আমাদের বিনিয়োগের মানসিকতা গড়ে তোলা উচিত। আমরা যে যা-ই করি না কেন, সেখান থেকে সঞ্চয় করে বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনেক তরুণ আছেন, যাঁরা ছাত্রজীবন থেকে বা চাকরিতে ঢুকে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ পান। কিন্তু সঠিক তথ্য ও পরিকল্পনার অভাবে সেই সঞ্চয় কাজে লাগাতে পারেন না। এমন সব তরুণের জন্যই আমার কিছু পরামর্শ।

বিনিয়োগের চিন্তা তরুণ বয়সেই কেন

বিনিয়োগের সঙ্গে পায়ে-পায়ে আসে ঝুঁকিও। প্রবীণ বয়সের তুলনায় তরুণ বয়সে ঝুঁকি নেওয়ার সামর্থ্য বা উপযোগিতা বেশি থাকে। তাই এ বয়সেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া দরকার। তা ছাড়া তরুণ বয়স থেকেই কেউ কমবেশি বিনিয়োগে যুক্ত থাকলে অনেক কিছু শেখা যায়, অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। যা পরবর্তী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ও আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনে সাহায্য করে।

সঞ্চয়ের অভ্যাস

তরুণ বয়সেই আমাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা অনেক বেশি জরুরি। বলতে গেলে, এটিই বিনিয়োগের পূর্বশর্ত। শুধু চাকরিই নয়, কেউ যদি টিউশনি করেন, কিংবা পরিবার থেকে অর্থ নিয়ে পড়াশোনা করেন, এ রকম অবস্থাতেও আমরা অযাচিত খরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয় করতে পারি এবং এই সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তর করতে পারি। আয়ের কত শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত, এটি নিয়েও অনেককে ভাবতে দেখা যায়। এটির আসলে নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। তবে আমরা আয়ের কমপক্ষে ১০ শতাংশ সঞ্চয় করার পরিকল্পনা করতে পারি।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা

আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় আর্থিক বিষয় নিয়ে সবার পড়া বা জানার সুযোগ খুবই কম। অথচ এটি সবার জন্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা তরুণ বয়স থেকে আর্থিক বিষয়ে জানার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। আমরা দেখি যে যেসব তরুণের মধ্যে আর্থিক বিষয়ে কমবেশি জানাশোনা আছে, তারা সঞ্চয় ও বিনিয়োগে অন্যদের চেয়ে বেশি আগ্রহী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স হচ্ছে। এটি বেশ কাজে আসছে। আমি মনে করি, প্রত্যেক তরুণেরই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানই তাদের অ্যাপের মাধ্যমে বাসায় বসে ইকেওয়াইসির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দিচ্ছে। ফলে সহজেই এফডিআর, ডিপিএসের মতো বিনিয়োগ সুবিধাগুলো নেওয়া যায়। এমনকি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও দেশে এখন এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তরুণেরা এসব বিষয়ে আগ্রহী হলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সঞ্চয় হবেই। হতে পারে সেটি অনেক কম পরিমাণে। তবে, এখান থেকে তারা যা শিখবে, সেটি ভবিষ্যতের বড় বিনিয়োগে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

কোথায় বিনিয়োগ করব

কেউ যদি ঝুঁকি নিতে না চায়, তাহলে তাঁকে এমন খাত নির্বাচন করতে হবে, যেখানে ঝুঁকি নেই। এ ক্ষেত্রে জিরো রিস্ক বা শূন্য ঝুঁকির বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে আছে ‘গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ’। যেমন ট্রেজারি বিল, বিভিন্ন প্রকার বন্ড, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি। অল্প পরিমাণ ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এফডিআর কিংবা বন্ড কেনা যেতে পারে। তবে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার আগে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অবস্থা, তারল্য, ঋণমান (আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক) ইত্যাদি বিষয় অবশ্যই দেখে নিতে হবে। এগুলো ভালো অবস্থানে থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগেও ঝুঁকি কম।

আবার যাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা আছে, তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছেন, তারা ভালো করলে আপনি আয় করবেন, আবার তারা খারাপ করলে আপনাকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এমন পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখেই আপনাকে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আমাদের দেশের শেয়ারবাজার অনেকটাই অস্থিতিশীল। তাই এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এগোনো ভালো।

আরও পড়ুনবয়স ৩০ হওয়ার আগেই ধনী হতে চাইলে যে ৭টি পরামর্শ মেনে চলবেন২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বিনিয়োগের বৈচিত্র্য থাকাও জরুরি। সব টাকা একধরনের খাতে বিনিয়োগ না করে ভিন্ন ভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা ভালো। এতে ঝুঁকি প্রশমন করা যায়। বিনিয়োগ টেকসই হয়।

এ বিষয়গুলো নিয়ে তরুণেরা পড়াশোনা করলে বিনিয়োগ নিয়ে আরও অনেক খুঁটিনাটি জানতে পারবেন, যা তাঁদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বিনিয়োগেও দক্ষ করে তুলবে।

অবৈধ ক্ষেত্র এড়িয়ে চলা

সঠিক আর্থিক শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের অনেক তরুণকে প্রায়ই জুয়া কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনসহ আইনে নিষিদ্ধ বিষয়গুলোতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। দেশের আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত, এমন কিছুই করা যাবে না। এগুলোর ফলে ভবিষ্যৎ আরও হুমকির মুখে পড়ে। মনে রাখতে হবে, বিনিয়োগ হতে হবে বৈধ উপায়ে, যা আমাদের ভবিষ্যৎকে বরং সুরক্ষিত করবে।

তরুণদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস বিভাগের প্রধান মো.

শাহীন ইকবাল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন য় গ কর বয়স থ ক আম দ র পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনের পর যেসব প্রশ্ন তোলা জরুরি ছিল

ডাকসু নির্বাচনের পর এক মাস পার হলো। এখনো প্রশ্ন উঠছে, এই নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হয়েছে কি না। প্রশ্ন উঠছে ব্যালট পেপার নিয়ে—কোথায় ছাপানো হয়েছে, কতগুলো ছাপানো হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট সুরক্ষা ছিল কি না।

এর আগে অভিযোগ উঠেছিল প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের। প্রার্থীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নির্বাচনী আচরণবিধি না মানার। সবচেয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছিল নির্বাচনের দিন—নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার সরবরাহের ও ভোট গণনার ত্রুটির। 

এগুলো অবশ্যই প্রশ্ন তোলার মতো বিষয়। এগুলোর জবাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারত, জাতীয় রাজনীতির এই সন্ধিক্ষণে তোড়জোড় করে ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজন কী ছিল।

বছরের পর বছর তো ছাত্র সংসদ নির্বাচন না করেই বিশ্ববিদ্যালয় চলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনীতিও চলছে। এই মুহূর্তে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে কে বা কারা এত উৎসাহী হলো। দেখা গেছে, সেই উৎসাহে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনেরই সায় ছিল। এমনকি বেশির ভাগ সংগঠন দ্রুত নির্বাচনের জন্য এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। 

আরও পড়ুনশিবিরের উত্থানের রাজনীতি, বাস্তবতা ও নানা সমীকরণ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচনের পর প্রশ্ন তোলা জরুরি ছিল, ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের এই বিপুল জয়ের কারণ কী। দীর্ঘ সময় ধরে গোপনে রাজনীতি করে যাওয়া একটি সংগঠন কীভাবে এত শক্তি অর্জন করল। নির্বাচনের আগে তাদের প্রকাশ্যে আসার কারণ এবং কয়েক মাস ধরে ক্যাম্পাসে তাদের সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্য এখন বোঝা যাচ্ছে।

ছাত্রশিবির কতটুকু জনপ্রিয় হয়ে উঠল এটি যেমন প্রশ্ন, তেমনি অন্য সংগঠনগুলোর প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা কমছে কি না, এটিও প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের জবাব থেকে ছাত্রসংগঠনগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতির প্রচলিত ধরনে তারা বদল আনবে কি না। 

কথা বলা দরকার ছিল, আগামী ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কী করা যেতে পারে তা নিয়ে। এবার যেমন নির্বাচনের আগে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নতুন করে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রগুলোতেও বিপুলসংখ্যক ক্যামেরা ছিল। তা ছাড়া ভোট গণনার কক্ষেও ক্যামেরা বসিয়ে বাইরে থেকে সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপরও ভোটার উপস্থিতি ও ভোট দেওয়ার হার নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন পক্ষ ও প্রার্থী উপস্থিতিপত্র ও সিসিটিভি ফুটেজ দাবি করেন। 

ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার নিয়েও গণমাধ্যমে কয়েক দিন ধরে তোলপাড় হয়েছে। কোথায় ছাপানো হলো, কোন প্রতিষ্ঠান ছাপাল—এগুলো প্রশ্ন হতে পারে; কিন্তু এর চেয়ে গুরুতর প্রশ্ন, এসব ব্যালট তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পক্ষের হাতে গেল কি না।

নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের এজেন্ট যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলে এত দিন পর এসব প্রশ্ন উঠত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা নির্বাচনের কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা কোনো পক্ষকে জিতিয়ে বা হারিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেননি। যদি করতে চাইতেনও, সেটি সম্ভব ছিল না। নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতিটি ধাপে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা কাজ করেছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ কোনো না কোনো পক্ষের রাজনীতি করেন। অতএব অনিয়ম করে সবার চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল না। 

ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার নিয়েও গণমাধ্যমে কয়েক দিন ধরে তোলপাড় হয়েছে। কোথায় ছাপানো হলো, কোন প্রতিষ্ঠান ছাপাল—এগুলো প্রশ্ন হতে পারে; কিন্তু এর চেয়ে গুরুতর প্রশ্ন, এসব ব্যালট তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পক্ষের হাতে গেল কি না।

আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচন, ফলাফল ও তরুণ মনের চাওয়া১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার কেবল ছাপানোর মধ্য দিয়েই ব্যালট পেপারের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। ব্যালট ছাপানো ও কাটার পরে মেশিনে পাঠযোগ্য করার জন্য কোড বসানো হয়েছে। তারপর সেগুলো নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট সংখ্যায় বুঝে নিয়েছে। প্রতিটি ব্যালটে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর বসিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যায় প্যাকেট করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন এসব প্যাকেট ডাকসুর ১০ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেদের হাতে নিজ নিজ কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। 

অতীতের ডাকসু নির্বাচনগুলোর মতো এবারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলা উচিত, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের জন্য এত উদ্বেগ তৈরি হবে কেন।

যে নির্বাচনটি হওয়া দরকার ছিল উৎসবমুখর, সেটি আয়োজনের জন্য এত সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও মানুষকে উৎকণ্ঠিত সময় পার করতে হবে কেন। কিসের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এত প্রস্তুতি, সেনাবাহিনী ডাকা হবে কি না, এ রকম প্রশ্ন। প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ ও সময়ের অপচয় কার জন্য, কিসের জন্য। প্রশ্ন তোলা যায়, ডাকসুর একেকজন ছাত্রনেতা কী ক্যারিশমায় জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন! 

আরও পড়ুনডাকসু-জাকসুতে শিবির জিতেছে, বাকিরা কি জিততে চেয়েছে১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রশ্ন উঠতে পারে, ডাকসু কোনো দলীয় নির্বাচন না হলেও ছাত্রসংগঠনগুলো কেন প্যানেল পরিচয়ে নির্বাচন করে, প্রচারণা চালায়। উত্তর খুঁজতে হবে, ছাত্রসংগঠন বা ছাত্রনেতাদের পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা কীভাবে বাড়ানো যায়। এই সহনশীলতা অবশ্যই দরকার। কারণ, তা না হলে বহুমত ও পথের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা সম্ভব নয়। সবার এবং সব পক্ষের সম্মিলিত উদ্যোগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও শিক্ষাসহায়ক পরিবেশের উন্নতি হতে পারে। 

ডাকসু নির্বাচনে কারা ভোটার হবেন এবং কারা প্রার্থী হতে পারবেন—এই প্রশ্নেরও মীমাংসা দরকার। এবার বয়সের সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে; এতে কোনো ক্ষতি হয়নি। নিয়মিত ছাত্রদের নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার নতুন বিধিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এমফিল বা পিএইচডি, এ ধরনের উচ্চতর ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হবে কি না, সেটি নিয়ে ভাবা দরকার। এই সুযোগ থাকলে পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীও উচ্চতর ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে যেকোনো সময়ে নির্বাচন করতে চাইবেন। 

সবশেষে আরেকটি প্রশ্ন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন আদৌ নিয়মিত হবে কি না। এটি করা গেলে নির্বাচনবিষয়ক বিদ্যমান উৎকণ্ঠা ও চাপ কমে যাওয়ার কথা। ডাকসুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়ে আসার ব্যাপারে সব ছাত্রসংগঠনই একমত হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কী করে, সেটি দেখার বিষয়। 

তারিক মনজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

সম্পর্কিত নিবন্ধ