যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি, ইরানি উড়োজাহাজ নামতে দিল না লেবানন
Published: 16th, February 2025 GMT
রাজধানী বৈরুতে ইরানের উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমতি দেয়নি লেবানন। গত সপ্তাহ থেকে এমন অন্তত দুটি ঘটনার কথা জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, বৈরুতে ইরানি উড়োজাহাজ নামতে দিলে ইসরায়েল সেটা ভূপাতিত করতে পারে। এরপর লেবানন এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে দেশটির নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র গতকাল শনিবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন লেবাননের কর্তৃপক্ষ ইরানকে একটি বার্তা পাঠায়। তাতে বলা হয়, বৈরুতগামী একটি উড়োজাহাজ যেন উড্ডয়ন না করে।
আরও পড়ুনলেবানন থেকে কেন পিছু হটল ইসরায়েল২৯ নভেম্বর ২০২৪সূত্রটি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে লেবানন সরকারকে একটি বার্তা দেয় ইসরায়েল। বলা হয়, ‘যদি ইরানের কোনো উড়োজাহাজ নামতে দেওয়া হয়, তাহলে লেবাননের বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে জানায়, এই হুমকিকে ইসরায়েল বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
লেবাননের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে দেশটির সরকারি কর্ম ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজ নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে উড়োজাহাজ উড্ডয়নের আগেই এই বার্তা সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সূত্রটি জানায়।
আরেকটি ঘটনা ঘটে গত শুক্রবার। ওই দিন ইরান থেকে বৈরুতগামী আরেকটি উড়োজাহাজের উড্ডয়ন আটকে দেওয়া হয়। এরপর ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সমর্থকেরা লেবাননে বিক্ষোভ করে। তারা দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে।
আরও পড়ুনইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর লেবাননে এখন কী হবে০২ জানুয়ারি ২০২৫ইসরায়েল এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে, ইরান থেকে অস্ত্র আনতে হিজবুল্লাহ বৈরুত বিমানবন্দর ব্যবহার করছে। তবে হিজবুল্লাহ ও লেবাননের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা বিরোধ ও সংঘাতের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। এর মধ্য দিয়ে লেবাননের দুপক্ষের মধ্য দুই মাস ধরে চলা সম্মুখ সমর বন্ধ হয়।
আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির মধ্যে লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল১৩ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল ব নন ল ব নন র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি।
সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস