আট ফুটবলারের জন্য কোচের ‘দুয়ার বন্ধ’
Published: 17th, February 2025 GMT
এ যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের সেই সংজ্ঞার মতো—শেষ হইয়াও হইল না শেষ!
গত রোববার বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার জানিয়েছিলেন, কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইতি টেনেছেন ১৮ ফুটবলার। এমনকি তাঁরা অনুশীলনে ফিরতেও রাজি। কিন্তু এই দৃশ্যপটের বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে কোচ বাটলার এখনো তাঁর অবস্থানে মোটামুটি অনড় থাকার কথাই জানিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুননারী ফুটবলে বিদ্রোহের শেষ, নাকি নতুন অশান্তি১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রোববার বাফুফেতে সাংবাদিকদের সামনে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খুব বেশি তিক্ততা প্রকাশ না পেলেও গতকাল প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপচারিতায় বুঝিয়ে দিলেন, ‘বিদ্রোহের হোতা’ আট ফুটবলারের ওপর তিনি এখনো কতটা ক্ষুব্ধ। সরাসরিই বলে দিলেন, ‘তারা (৮ বিদ্রোহী ফুটবলার) কোনো দিন আমার অধীনে অনুশীলন করতে পারবে না।’
শুধু শিউলি আজিম, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, রুপনা চাকমা, তহুরা খাতুন আর শামসুন্নাহার জুনিয়র আমার বিবেচনায় থাকবে। আমি জানি তারা বাকিদের (সাবিনা-সানজিদারা) দ্বারা প্রভাবিত।বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারএমনিতেই ১৮ ফুটবলারের অনুশীলনে ফিরতে চাওয়ার খবরটা সহজভাবে নেননি বাটলার। এই ১৮ জনের মধ্যেও ৮ জনকে নিয়ে তাঁর বেশি আপত্তি। নাম ধরেই বললেন, ‘সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী সরকার, মাতসুশিমা সুমাইয়া—এই আট ফুটবলার কখনোই আমার অধীনে অনুশীলনে ফিরতে পারবে না। আমি এখন তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে মনোযোগী। তাদের দিকেই পুরোপুরি দৃষ্টি দিতে চাই।’
সানজিদা, সাবিনা ও মাসুরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির উত্থান ইউরোপের বামপন্থী রাজনীতিকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগামী বছর স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের নেতারা চোখ রাখছেন মামদানির ওপর।
মামদানির নির্বাচনী প্রচার দেখতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দলীয় কৌশলবিদেরা আগেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, মামদানিকে কাছ থেকে দেখে তাঁর রাজনীতির কৌশল শেখা। কারণ, মামদানি একেবারে সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন। ইউরোপের রাজনীতিকেরা শিখতে চান, মামদানির তৃণমূলভিত্তিক প্রচারণা নিউইয়র্কে যেমন সফল হয়েছে, সেটি তাঁদের অঞ্চলেও কার্যকর হবে কি না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বামপন্থীদের জোট দ্য লেফট গ্রুপের ফরাসি সহসভাপতি মানোঁ ওব্রি গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে মামদানির প্রচারে অংশ নেন। ওব্রি ও তাঁর দল ফ্রান্স আনবাউড মামদানিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মামদানির মডেল অনুসরণ করে ফ্রান্সজুড়ে ২০২৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চান।
জার্মানির পুঁজিবাদবিরোধী দল দ্য লেফট নিউইয়র্কে চার কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। তাঁরা মামদানির প্রচারকৌশলের প্রধান মরিস ক্যাটজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির সংসদীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক লিজা ফ্লাউম বলেন, মামদানির মতো কৌশল অনুসরণ করে অতীতে তাঁদের দল ভালো করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের কৌশল নিয়েছিল তাঁদের দল। ফ্লাউম আশা করেন, বার্লিনে আগামী সেপ্টেম্বরের আইনসভা নির্বাচনে দ্য লেফট মামদানির বর্তমান প্রচারণাকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করবে।
এদিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মামদানি বিদেশে তাঁর প্রচারকৌশল নিয়ে মাতামাতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে মামদানি বলেন, আপাতত তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতিতে।
ফ্রান্স ও জার্মানির মতোই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেরা মামদানির প্রচারকৌশল দেখে মুগ্ধ। মামদানির ছোট ছোট ভিডিওতে ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার খরচের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে একই সঙ্গে আপনজন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৭ ঘণ্টা আগেফ্রান্স আনবাউডের সংসদ সদস্য দানিয়েল ওবোনো বলেন, ‘মামদানির দলীয় নির্বাচনে জয়টাই একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু তিনি কী নিয়ে লড়েছেন, তা–ই নয়, বরং কীভাবে লড়েছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যোগাযোগের কৌশল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারসহ অনেক কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা মোথিন আলি বলেন, বামপন্থীদের এখন শেখা দরকার, কীভাবে মামদানির মতো করে সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির নেতৃত্বে থাকা জেরেমি করবিনও এক এক্স পোস্টে মামদানির প্রচারে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন৯ ঘণ্টা আগে